1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
পাল্টা শুল্ক স্থগিত ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস মুজিব-বন্দনায় অপচয় ৪ হাজার কোটি টাকা মুজিববর্ষ পালন ও ভাস্কর্য নির্মাণ ।। ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ ।। ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন হাসিনা-রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৬ এপ্রিল বৈঠকে বসছে বিএনপি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা বাংলাদেশ নাইটক্লাবের ছাদ ধসে গায়ক রুবি পেরেজসহ নিহত ১৮৪ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করল ভারত চিকেন নেক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতাই কারণ—মত বিশ্লেষকদের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারের ওপর ডব্লিউটিওতে নালিশের সুযোগ আছে বাংলাদেশের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ট্রাম্পের হঠাৎ ইউটার্ন ♦ সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক তিন মাস স্থগিত ♦ শুধু চীনের জন্য বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ♦ বাংলাদেশে স্বস্তি ত্রিমুখী অবস্থানে তিন দল কিছু ক্ষেত্রে একমত হলেও সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে দূরত্বে বিএনপি জামায়াত এনসিপি

নতুন করে ডাকসু নির্বাচন চান পর্যবেক্ষণকারী শিক্ষকরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯
  • ১১২ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সর্বাঙ্গীণ সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনে পর্যবেক্ষণকারী বিশ্ববিদ্যালয়টির আটজন শিক্ষক। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সেই সঙ্গে এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানান ওই শিক্ষকরা।

বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা খানম ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অতনু রব্বানী।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১১ মার্চ বহুল প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত ছাত্রদের হল: এসএম হল, সূর্যসেন হল, মহসিন হল, এফ রহমান হল, শহীদুল্লাহ্ হল এবং ছাত্রীদের হল: রোকেয়া হল এবং কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করি।

আমরা কুয়েত মৈত্রী হল থেকে আমাদের পর্য়বেক্ষণ শুরু করি কারণ, আমরা শুরুতেই জানতে পারি এই হলে ভোটদানে অনিয়মের কথা। আমরা জানতে পারি, ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ছাত্রীরা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকাদের কাছে ভোটদানের আগে শূন্য ব্যালট বাক্স দেখতে চান কিন্তু তাদের এই ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করা হয়। এতে ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে কেন্দ্রের পাশের কক্ষ থেকে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের পক্ষে পূরণ করা প্রচুর ব্যালট পেপার উদ্ধার করে। সেগুলোর বেশ কিছু আমরা শিক্ষকরাও দেখতে পেয়েছি। এরকম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ্য না হলেও আমরা রিটার্নিং অফিসারদের লজ্জিত ও মর্মাহত দেখতে পাই।

বিবৃতিতে বলা হয়, একপর্যায়ে রোকেয়া হলে গোলযোগের খবর পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, সকালের কুয়েত মৈত্রী হলের অভিজ্ঞতার পর, সরকারি ছাত্রসংগঠনের বাইরের নানান প্যানেলের শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রের পাশের রুমে ব্যালট পেপারের সন্ধান পান এবং সেগুলোকে দেখানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেন। কিন্তু সেগুলো ছিল সাদা ব্যালট পেপার। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং সরকারি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিরোধীদের ওপর চড়াও হয়। বিরোধীপক্ষের কয়েকজন আহত হন। উভয় পক্ষের উত্তেজনায় এরকম অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে রোকেয়া হলে, যার নিন্দা জানাই আমরা।

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ছাত্রদের হলের ভেতরে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে কতগুলো অনিয়ম চোখে পড়ে। তা হলো ক. ভোটারের আইডি চেক করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সদস্যরাই বেশিমাত্রায় ভূমিকা রেখেছেন এবং অনাবাসিক ছাত্রদের ভোট দিতে বাধাপ্রদান ও নিরুৎসাহিত করেন তারা। খ. ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করলেও, অন্য প্যানেলের প্রার্থী ও কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে বা ভোটারের সারির আশেপাশে অবস্থানগ্রহণ করতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। গ. ভোটকেন্দ্রের অব্যবহিত বাইরে কৃত্রিম জটলা করে রেখেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা, যাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ হয় এবং বাকিরা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হয় ঘ. অনেকক্ষেত্রে বুথের ভেতরে আমরা সময় গণনা করে দেখেছি পাঁচ থেকে ২৩ মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যয় করেছে কোনো কোনো ভোটার যা ইচ্ছাকৃত মনে হওয়ার কারণ রয়েছে। ঙ. ভোট চলাকালেই রোকেয়া হলের সামনে একটি সংগঠনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মীকে বাইকের হর্ন বাজিয়ে শোডাউন করতে দেখা গেছে যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।

পরিশেষে আমরা এটাই বলতে চাই এই বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের ঘটনাগুলো আমাদের খুবই লজ্জ্বিত করেছে। এই ঘটনা জনগণের করে পরিচালিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে বিনষ্ট করেছে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে যা সার্বিকভাবে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবে। এত বছর পরে অনুষ্ঠিত এই ডাকসু নির্বাচন সফলভাবে না করতে পারার ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষক সবার এবং এই ব্যর্থতা সমগ্র শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিকতার মানদণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা চাই এই ব্যর্থতার একটি সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। সেই সাথে এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক।

প্রসঙ্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদন করেন এবং অনুমতি পান। তার মধ্যে আটজন শিক্ষক সোমবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com