1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
মস্কোর নিকটে রাশিয়ার সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, ৭ নিহত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ইসির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জরুরি ব্রিফিং ডাকা ঘিরে নির্বাচনী জল্পনা সরকারি পদে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকবে: নির্বাচন কমিশন ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নে জনমত সংগ্রহ করবে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেন তারেক রহমান রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ১.০০৮ বিলিয়ন ডলার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অনিশ্চিত অংশগ্রহণ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন প্রশ্ন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত

বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর সম্পদ তিন বছরে দ্বিগুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১৪৭ বার দেখা হয়েছে

 

বাণিজ্য ডেস্ক

 

বিশ্বে একদিকে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে, অন্যদিকে দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হচ্ছে। বৈশ্বিক সম্পদের এই অসম বণ্টনে বিশ্বের সবচেয়ে ধনিক শ্রেণির হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, বাড়ছে সামাজিক বৈষম্য। এই চিত্র ফুটে উঠেছে দাতব্য সংস্থা অক্সফামের সর্বশেষ প্রতিবেদনে। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে গত সোমবার শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন।

এই সম্মেলন ঘিরে গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এই অবস্থায় কর ব্যবস্থার ওপর এসব সম্পদশালীর প্রভাব প্রতিহত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, তাদের সম্পদের পরিমাণ ২০২০ সালে ছিল ৪০৫ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন বা ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

অথচ ২০২০ সাল থেকে একই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আরো দরিদ্র হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম ১০টি কম্পানির মধ্যে অন্তত সাতটি কম্পানি পরিচালনা করছে বা তার প্রধান শেয়ারহোল্ডার একজন শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ার।

ডাভোস সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অক্সফাম বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে, করপোরেট শক্তির একচেটিয়াতন্ত্র ভেঙে তাদের যেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব কম্পানি যে অতিরিক্ত মুনাফা করছে তার ও তাদের সম্পদের ওপর বিশেষ করারোপ করা এবং শেয়ারভিত্তিক মালিকানার বিকল্প হিসেবে কর্মীদের মালিকানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে অক্সফাম।

অক্সফামের আনুমানিক হিসাব, ২০২০ সালের পর গত তিন বছরে বিশ্বের ১৪৮টি শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান ১.৮ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার মুনাফা করেছে, আগের তিন বছরের গড় মুনাফার চেয়ে যা ৫২ শতাংশ বেশি। বিপুল অঙ্কের মুনাফা করার কারণে শেয়ারহোল্ডাররা বড় অঙ্কের লভ্যাংশ পেয়েছে, যদিও এসব প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি কর্মী জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকটে পড়েছে। একদিকে যখন মূল্যস্ফীতির কারণে কোটি কোটি মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, অন্যদিকে শেয়ারহোল্ডাররা তখন বড় লভ্যাংশ পেয়েছে।

অক্সফামের ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার বলেছেন, ‘এই অসমতা দুর্ঘটনাবশত সৃষ্টি হয়নি, শতকোটিপতিরা এটা নিশ্চিত করেছে যে করপোরেশনগুলো অন্যদের বঞ্চিত করে তাদের বিপুল অঙ্কের লভ্যাংশ দেবে।’

ডাভোসের এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য কিছুটা ভিন্ন।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম মনে করে, করপোরেশনগুলোর কাজ কেবল মুনাফা বৃদ্ধি করা নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মানবিক ও সামাজিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করাও তাদের কাজ।

কিন্তু অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই উদ্দেশ্য মোটেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এই বৈষম্য প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংক ও ফোর্বসের ধনীদের তালিকার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়।

অক্সফামের অসমতাবিষয়ক নীতি বিভাগের প্রধান ম্যাক্স লসন বলেছেন, ‘আমরা জানি, এখনকার এই শেয়ারহোল্ডার ক্যাপিটালিজমের মূল উদ্দেশ্য হলো শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়া। বাকি সব উদ্দেশ্য গৌণ, এটাই মুখ্য। সে জন্য অসমতা বাড়ছে।’

মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের মাধ্যমে মোট সম্পদের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে যে পাঁচজন শীর্ষ শতকোটিপতির কথা অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা হলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক, এলভিএমএইচের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, আমাজনের প্রধান জেফ বেজোস এবং বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট।

অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বের ৮০ কোটি কর্মীর মজুরি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি, পরিণামে বার্ষিক হিসাবে তাদের আয় ২৫ দিনের মতো কমে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের এক হাজার ৬০০টি বড় করপোরেশনের মধ্যে মাত্র ০.৪ শতাংশ করপোরেশন জনসমক্ষে কর্মীদের জীবনধারণের উপযোগী মজুরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং তাদের সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদেরও সেই মজুরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com