1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সচিবালয়ে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত নতুন বছরে আলোচনায় থাকবে যেসব উদ্ভাবন উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য? এক্সক্লুসিভ কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে সচিবালয়ে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল প্রাণঘাতী কমিয়ে শর্ট ব্যারেল অস্ত্র তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস জাহাজে ৭ খুন: লাশ নিতে স্বজনদের ভিড়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন ৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ ♦ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্পে বিদেশি ঋণ কিস্তি পরিশোধের ঝুঁকি ♦ অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে Khulna-Dhaka train services via Padma Bridge begin officially

রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দিলে গ্রিনলাইনের সব গাড়ি জব্দ, ম্যানেজারকে তলব

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর গ্রিনলাইন পরিবহনের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে সময়মত ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় পরিবহনটির ম্যানেজারকে তলব করেছেন আদালত।ক্ষতিপূরণ না দিলে ওই পরিবহনের সব বাস জব্দ করা হবে।

পঙ্গু রাসেল ক্ষতিপূরণ পাননি জানালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশে আজ দুপুর ২টার মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজারকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুপুর ২টায় এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ তিন দিনের মধ্যে পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাসেল ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা তা আজ আদালতকে অবহিত করেন। এদিন আদালতে হাজির হন রাসেল সরকারও।

শামসুল হক জানান, গ্রিন লাইন মালিকপক্ষ রাসেলের ক্ষতিপূরণের কোন টাকা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে তারা কোন যোগাযোগও করেনি। সে কারণে মালিককে আদালতে হাজিরের জন্য আদেশ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় আদালত গ্রিনলাইনের আইনজীবী অজিউল্লাহকে ডেকে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ বলেন গ্রিনলাইনের মালিক দেশের বাইরে যে কারণে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে পারিনি। আদালত এ সময় গ্রিনলাইনের আইনজীবীকে বলেন, মালিক কোন দেশে আছেন, কবে ফিরবেন তা নিশ্চিত করেন।

কিন্তু এ বিষয়ে আদালতে কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি গ্রিনলাইনের পক্ষের আইনজীবী। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রিনলাইনের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে আদালতে ডেকে আনতে ওই আইনজীবীকে মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারক।রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দিলে গ্রিনলাইনের সব গাড়ি জব্দ করা হবে।

রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ গত ১২ মার্চ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে ৩১ মার্চ এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামসুল হক রেজা ও অ্যাডভোকেট খবিরউদ্দিন ভূঁইয়া। আর গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী অজিউল্লাহ।

এর আগে ১২ মার্চ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল আদেশে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

রিট আবেদনটি করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী দোলাইরপাড় প্রান্তে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারান এপিআর এনার্জি লিমিটেডের চালক রাসেল। বাসচালক কবির বেপরোয়া গতিতে পেছন দিক থেকে মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। বাসের সামনে গিয়ে কবিরের কাছে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান রাসেল। এর জের ধরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কবির ইচ্ছা করেই রাসেলের শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। দ্রুত সরার চেষ্টা করলেও এক পা বাঁচাতে পারেননি রাসেল। ঘটনাস্থল থেকে রাসেলকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রিনলাইন বাসের চালক কবির মিয়াকে একমাত্র আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন রাসেলের ভাই আরিফ সরকার।

পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা রাসেল রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com