দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে। কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার প্রয়োজনীয় পরিবেশ না থাকায় বিরাজ করছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশের ৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে উপাচার্য (ভিসি) নেই। আর কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) নেই ৩১টিতে। এ ছাড়া শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, শীর্ষ কর্তাব্যক্তি নিয়োগে উদাসীনতা, নির্দিষ্ট সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব-মামলা, বছরের পর বছর আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, অননুমোদিত কোর্স পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব। সব মিলে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা খাতে। সরকার চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
ইউজিসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে বলছেন, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করাই কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা কিছু বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক অনিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। নিয়ম না মানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিলম্বে লাগাম টানার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতি. দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ভিসি ও ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই দুই পদ শূন্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধিবহির্ভূত অনেক কাজ হয়। এসব পদে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডকে তৎপর হতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই নতুন নিয়োগের প্রস্তাব পাঠাতে হবে। শুধু ট্রাস্টি বোর্ডকে এজন্য দোষ দিলে হবে না। অনেক সময় ট্রাস্টি বোর্ড যথাসময়ে প্রস্তাব পাঠালেও মন্ত্রণালয়ের কারণে দেরি হয়। মন্ত্রণালয়কেও এ নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে করতে হবে।বিস্তারিত