কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন সংঘাতে গড়িয়েছে। গতকাল শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে বেশির ভাগ স্থানে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনকারীরা। সংঘর্ষ হয়েছে ঢাকার আগারগাঁও, চট্টগ্রামের টাইগার পাস ও কুমিল্লায়। রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই শাহবাগে বিশাল জমায়েত নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙে শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর ও কুষ্টিয়ায়ও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বিকাল ৪টা থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে বিদ্যমান কোটার সংস্কার চেয়ে আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বড় একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন শাহবাগে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শাহবাগে আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা ভেঙে শাহবাগ থেকে বাংলামোটরের দিকে যাত্রা করে। শাহবাগে মেট্রো স্টেশনের নিচে পুলিশ বাহিনী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা ব্লকেড, ব্লকেড ব্লকেড’, ‘হাই কোর্ট না শাহবাগ, শাহবাগ শাহবাগ’, ‘কোটা নাকি মেধা আগে, জবাব চাই শাহবাগে’, ‘১৮-এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’সহ নানা স্লোগান দেয়। এ ছাড়া কুমিল্লা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা।বিস্তারিত