রাজধানীর খালগুলো দখলের কারণে সংকুচিত, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনায় ভরাট, জলাশয় ভরাট, অপর্যাপ্ত এবং বিকল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত হলেও স্থায়ী সমাধানের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি, দোকান ও বাসাবাড়ি ডুবে যায়। মালামাল নষ্টে বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসা গত এক যুগে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। তারপরও একটু ভারী বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায় ঢাকার অধিকাংশ এলাকা। খাল ভরাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বিকল, জলাশয় ভরাট, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাব জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।
গত শুক্রবার ছয় ঘণ্টায় নগরীতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে রাজধানীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি, দোকান ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। বিশেষ করে ধোলাইখাল, শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজারসহ পুরান ঢাকার অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। এ ছাড়া মতিঝিল, টিকাটুলী, খিলগাঁও, রামপুরা হাজীপাড়া, মৌচাক, গ্রিনরোড, পান্থপথ, মিরপুরসহ দুই সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে যায়। যদিও গত তিন বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ২৫৯টি জলাবদ্ধ স্থান চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে উত্তর সিটি চিহ্নিত করেছে ১০৩টি স্থান। দুই সিটি এসব এলাকায় সমাধানে কাজ করলেও জলাবদ্ধতা হচ্ছেই।বিস্তারিত