1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ব্যাংক দখল

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

মাছের তেলে মাছ ভাজাÑ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে এ প্রবাদটির মতোই কৌশল নিয়েছিল কুখ্যাত ঋণ জালিয়াত চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ওই টাকা দিয়েই বেনামে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল গ্রুপটি। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেনি ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকটির বিনিয়োগ ও আইন বিভাগের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়। নেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত জামানতও। আমলে নেওয়া হয়নি ব্যাংকটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের পরামর্শ। একক গ্রাহকের সীমা লঙ্ঘিত হওয়ায় এই ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়। এমনকি একজন বিদেশি পরিচালককে ওই সভায় অনুপস্থিত রাখতে রাজধানীর একটি হোটেলে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও নামে-বেনামে ঋণের নামে লুটপাট অব্যাহত রাখে গ্রুপটি এবং লুটপাটের টাকায়ও বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির শেয়ার কেনা হয়। আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এসব ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনা ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

২০০২ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক এস আলম গ্রুপ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ আনুকূল্যে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকসহ একে একে সাতটি ব্যাংক দখলে নিতে সক্ষম হয়। এসবসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে লক্ষাধিক কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে গ্রুপটির কর্তা-ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। সরকার বদলের পর ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে এস আলমমুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান যাচাইয়ে বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউ থেকেও পৃথক তদন্ত হচ্ছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একক ব্যক্তি, পরিবার বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ আনুকুল্যে ইসলামী ব্যাংকের মুষ্টিমেয় শেয়ার কিনে এসব শেয়ারের বিপরীতে প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত করে পুরো ব্যাংকের কর্তৃত্ব কব্জায় নিতে সক্ষম হয় এস আলম গ্রুপ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালের শেষ দিকে নিয়ম লঙ্ঘন করে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী ট্রেডার্স, এস আলম রিফাইনড ভেজিটেবল অয়েল এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েলÑ এই তিন কোম্পানির নামে ১ হাজার ৭৫০ টাকা ঋণ বের করা হয় ইসলামী ব্যাংক থেকে। বিস্তারিত

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com