মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে নশরতপুর ইউনিয়নের চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি ব্রীজের। চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের রাণীরবন্দর বাজার থেকে খানসামা রোড হয়ে উত্তর দিকে রাণীরবন্দর হাট এর ৫০ গজ পূর্ব-উত্তর কোণে নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীতে নির্মিত ৭০ ফিট এ বাঁশের সাঁকো এখন হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা।যা দল পাল্টায়, বাঁশের সাঁকো আর ব্রিজ হয় না’
চিরিরবন্দর ইছামতিতে এই একটি ব্রিজের অভাবে যুগ যুগ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাশেঁর সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীর উপরে নির্মিত লক্কড়ঝক্কড় মার্কা এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
ওই এলাকার মকবুল, নাসিম বেয়ারী, জাহিদুল জানান, আমরা চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে তৈরি এ সাঁকো দিয়েই উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়–ুয়া সহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ এ বাঁশের সাঁকো।
স্কুল শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র জানান, স্বল্প সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলোকডিহি জে,বি উচ্চ বিদ্যালয়, রাণীরবন্দর এন, আই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমড়িয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলার প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী রাণীরবন্দরহাট ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এলাকার লোকজন সহজেই যাতায়েত করতে পারবে।
রাণীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা: নাছরীন জানায়, সেতু না থাকায় প্রতিদিন আমাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয়। বৃষ্টির সময় এ দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
আলোকডিহি গ্রামের শ্রী সাধনা রায় জানান, আমি ইনজিও চাকুরী করি আমার ফিরতে প্রতিদিনই রাত হয় তাই রাতের বেলা এ বাশেঁর সাঁেকা পাড় হাতে আমার খুব ভয় করে।
গছাহার গ্রামের মো. জিয়ারুল হক বলেন, এ এলাকা মূলত কৃষিনিভর। এখানে শাকসবজিসহ প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় নদীর পূর্ব পাড়ের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো হাটে আনতে পারেন না। বাজারে আনতে গেলে ৪ কি:মি ঘুরে আসতে হয় এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়।তাই স্থানীয় বাজারেই এসব কৃষিপণ্য কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কৃষক।
একই গ্রামের জসিম উদ্দিন, হাসান আলী বলেন, এর উপর দিয়ে পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে মোটরসাইকেল বা কোনো যানবাহন নিয়ে পারপার হতে গেলে সাঁকোটি বৃদ্ধ লোকের দাঁতের মতো নড়বড় করতে থাকে। এতে করে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: নুর ইসলাম নুরু জানান, গ্রামবাসীর একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগের সীমা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও সেতু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।তবে এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনেএকাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ইউএনও ফিরোজ মাহমুদ ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি। গতকাল শনিবার আবার ফোন দিলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন