1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সচিবালয়ে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত নতুন বছরে আলোচনায় থাকবে যেসব উদ্ভাবন উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য? এক্সক্লুসিভ কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে সচিবালয়ে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল প্রাণঘাতী কমিয়ে শর্ট ব্যারেল অস্ত্র তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস জাহাজে ৭ খুন: লাশ নিতে স্বজনদের ভিড়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন ৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ ♦ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্পে বিদেশি ঋণ কিস্তি পরিশোধের ঝুঁকি ♦ অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে Khulna-Dhaka train services via Padma Bridge begin officially

এনন টেক্স ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি ফেঁসে যাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের এমডি: বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদবির করে দুদক থেকে পার পেলেও পুনঃতদন্তে আটকে যেতে পারেন * এনন টেক্সের ৫৭৬৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে দুদক

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৭০ বার দেখা হয়েছে

মিজান মালিক

বিসমিল্লাহগ্রুপ এবং এনন টেক্স গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম আজাদ। বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতিতে দুদকের মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম। ওই সময় তিনি প্রভাবশালীদের তদবিরে অভিযোগের দায় থেকে সাময়িকভাবে মুক্ত হয়েছিলেন। দুদকের মামলায় দু’দফা তদন্তে তাকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে আসছে, শাখা প্রধান হিসেবে আবদুছ ছালাম আজাদ বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির দায় এড়াতে পারেন না। বর্তমানে দুদক তাকে ওই সময় অব্যাহতি দেয়ার কারণ খুঁজছে বলে জানা গেছে। বিসমিল্লাহ এবং এনন টেক্স দুই গ্রুপের ঘটনার সময়ই তিনি জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।

এনন টেক্স গ্রুপের ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বর্তমান এমডি মো. আবদুছ ছালাম আজাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে দুদক। কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক পদে থাকার সময় তিনি আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রুপটির ঋণের অনুমোদন, বিতরণ এবং পরিবীক্ষণে সহায়তা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এসব বিষয় ওঠে এসেছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলা থেকে আবদুছ ছালামকে অব্যাহতি দেয়ার কারণ নতুন করে খুঁজতে শুরু করেছে দুদক। অন্যদিকে এনন টেক্স সংক্রান্ত রিপোর্টটি দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং শাখার দু’জন পরিচালককে প্রাথমিক অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টটি পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, এখন আমাদের টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অনুসন্ধানের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি : আবদুছ ছালাম আজাদ যখন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তখন এ শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ৩৩৩ কোটি টাকার ঋণ হাতিয়ে নিয়েছিল। যার পুরোটাই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। পুরো ঋণটিই এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। এ ঘটনা প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশদ তদন্ত করে। তাদের তদন্তে এ ঘটনার দায়ে আবদুছ ছালাম আজাদসহ কয়েক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে দুদক ওই শাখার ঘটনায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৮ জন ও শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক আবদুছ ছালাম আজাদসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৫ জনকে আসামি করে ২০১৩ সালে পৃথক দুটি মামলা করে। মামলা দুটির বাদী ছিলেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক যখন কারও বিরুদ্ধে মামলা করে তখন পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে রেখেই করে। জনতা ব্যাংকের ওই শাখা ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যখন মামলা হল তখনও নিশ্চয়ই সে ধরনের প্রমাণাদি রেখেই মামলা হয়েছিল। কারণ শাখা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ছাড়া ঋণ অনুমোদন সম্ভব ছিল না। কিন্তু ওই দুটি মামলার চার্জশিট থেকে আবদুছ ছালাম আজাদের নাম বাদ পড়েছে। বাকি কর্মকর্তারা আছেন আসামির তালিকায়।

সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন কর্পোরেট শাখায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়। এর মধ্যে শাহরীশ কম্পোজিট টাওয়েলকে ১৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং আলফা কম্পোজিট টাওয়েলকে ১৪৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয় জালিয়াতির মাধ্যমে। ২০১১ ও ২০১২ সালের মধ্যেই এসব জালিয়াতির বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। রফতানি বিল দেশে না আসায় তার বিপরীতে ফোর্স লোন তৈরি করে গ্রাহকের দেনা শোধ করার মত বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে।

এনন টেক্স গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি : ইউনুস বাদল জনতা ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ৫৭৬৮ কোটি টাকা বের করে নেন। ওই টাকার মধ্যে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তিনি একটি ‘ডামি ফ্যাক্টরি’ করেন। বাকি টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দেন। একটি দেশে তিনি ‘সিসার’ বারও দেন। ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি প্রচার করেন। অথচ, তিনি প্রায় বেশিরভাগ অর্থ পাচার করে দিয়ে বেশ ভালোই আছেন। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির নামেও অভিনব জালিয়াতি করেছে গ্রুপটি।

জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া কোম্পানি খুলে জনতা ব্যাংক থেকে এলসির (ঋণপত্র) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস বাদল নিজেই । এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির কোনো সম্পর্ক নেই। এ জালিয়াতিতে সরাসরি সহায়তা করেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুছ ছালাম আজাদ। এ সংক্রান্ত পরিদর্শন রিপোর্টেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি ওই রিপোর্টটি দুদকেও পাঠানো হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এনন টেক্স গ্রুপের কর্ণধার ইউনুস বাদল বিএনপির প্রয়াত নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত করে তোলার চেষ্টা করেন। নানা ধরনের অপরাধেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাড়ি চুরির পর নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গাড়ি চুরি মামলায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের বর্তমান ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের টিমের হাতে। ওই সময় তাকে যাতে ‘গাড়ি চোর’ হিসেবে টিভিতে কোনো সংবাদ প্রচার না হয় সেজন্য টিমের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তা নাকচ করে দেন।

যথারীতি গাড়ি চোর হিসেবে ইউনুস বাদলের নাম মিডিয়াতে চলে আসে। ইউনুস বাদল দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এনন টেক্সের ঋণ জালিয়াতিতে সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম আজাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com