করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়নি। তাই পরীক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ করে দেওয়া হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় আটকে আছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’-এর ফল। অধ্যাদেশ জারি হলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এইচএসসির ফল প্রকাশের অধ্যাদেশ আগামী ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় উপস্থাপন করার কথা আছে। সেখানে অনুমোদন দেওয়া হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর তা জারি করা হবে।শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি সপ্তাহে এইচএসসি-সমমানের ফল প্রকাশে ঘোষণা দিলেও ‘পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের অধ্যাদেশ’ জারি করা সম্ভব না হওয়ায় তা আটকে গেছে। অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে তা গত ৪ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু সভা বাতিল হওয়ায় তা পিছিয়ে গেছে। ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় অধ্যাদেশ অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের আগামী সভায় অধ্যাদেশ অনুমোদন হলেও পরবর্তী সময়ে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। ভাষাগত ও আইনি অসঙ্গতি আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের জন্য আলাদা করে পাঠানো হবে। পরে তা জারি করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশ জারির এক সপ্তাহ পর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সে হিসেবে জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, ‘অধ্যাদেশ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছে। এরপর প্রক্রিয়াগত কারণে আইন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। সেজন্য ফল প্রকাশে কিছুটা দেরি হতে পারে।’
এদিকে, আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এইচএসসির ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। অধ্যাদেশ জারি হলে পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’