ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতি। বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ছে। এক্ষেত্রে অর্থের বড় জোগান আসছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বোনাস, গতিশীল অভ্যন্তরীণ বাজার, জাকাত ও ফিতরা থেকে। এ ছাড়াও অর্থের
ঢাকার সৌদি দূতাবাস থেকে ঘুষের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশেও তদন্ত শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তদন্তে নেমেছে। এরই মধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষের
কিছুটা কমার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে আবার বেড়েছে চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে পাম অয়েল, হলুদ ও ধনিয়ার দাম। তবে ময়দা, খোলা সয়াবিন তেল, রসুন, এলাচ ও ডিমের
নিজস্ব প্রতিবেদক বাজারে গেলে চোখে পড়বে কাঁকরোল। খেতে চাইলে গুনতে হবে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা! আশ্চর্য হলেও বাস্তবতা তাই বলছে। রমজানের মধ্যে খুবই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সবজির দামে।
এনজিও—ননগভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। দেশী-বিদেশী উৎস থেকে পাওয়া তহবিল কাজে লাগিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানা কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাধীনতার পরের কয়েক দশকে দেশের উন্নয়ন অর্থনীতিতে সংস্থাগুলো বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গত এক দশকে সংস্থাগুলোয় বিদেশ থেকে তহবিল আসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে কমেছে এনজিওগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতা। টিকে থাকতে এখন বাণিজ্যিক রূপান্তরের পথ বেছে নিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এখন আর তহবিলের জোগান দিতে চাইছে না বিদেশী দাতারা। এছাড়া কভিডকালীন বিপত্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান দুঃসময়ও এখানে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও। এগুলোর মধ্যে রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট, কেয়ার, কারিতাসের মতো বিদেশী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখানে সক্রিয় পাকিস্তান আমল থেকেই। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এনজিওর সংখ্যা ও কার্যক্রম বেড়ে যায়। ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সত্তরের দশকের বড় কয়েকটি দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত এবং মানবিক সংকটে পতিত হয় বাংলাদেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে কার্যক্রম শুরু করে দেশী-বিদেশী অনেক এনজিও। দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া তহবিলে ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে নিয়েছিল অনেক কর্মসূচি। আশি ও নব্বইয়ের দশক এমনকি চলতি শতকের শুরুর দশকেও দেশের উন্নয়ন আলোচনার বড় একটি অংশজুড়ে ছিল এসব প্রতিষ্ঠান। নাজুক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে এনজিওগুলোর ভূমিকা বেশ আলোচিত হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শুধু সুদ ব্যয়ই এক লাখ কোটি টাকার বেশি হবে না, সেই সঙ্গে ভর্তুকি বাবদ ব্যয়ও তেমনই হবে। নতুন বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি
বিদেশি মুদ্রার সংকট কাটাতে আমদানিতে দেওয়া হয়েছে নানা শর্ত। এতে এলসির হার কমলেও আমদানি দায় পরিশোধ কমেনি। এখনো রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানিতে খরচ করতে হচ্ছে বেশি। প্রবাসী আয়ও আশানুরূপ
মুদ্রাবাজারে তারল্যের জন্য প্রধান নির্ভরতা ছিল সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। এ চার ব্যাংককে ধরা হতো কলমানি বাজারে অর্থ ধারের ভরসাস্থল। সংকটে পড়লে নগদ অর্থের জন্য দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারাও দ্বারস্থ হতেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে। পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভিন্ন। কলমানি বাজারের দাতা থেকে তারা হয়ে উঠেছে প্রধান ঋণগ্রহীতা। যদিও এ ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক। আর প্রতিদিন ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ধার করতে হয়েছে রূপালী ব্যাংককে। সরকারি আমানত বাড়ায় সোনালী ব্যাংকের পরিস্থিতি এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে অগ্রণী ব্যাংকের দৈনিক ধারের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। কলমানি বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) হিসেবে এ ধার নেয়া হচ্ছে। দেশের কলমানি বাজারের মোট লেনদেনের অর্ধেক অর্থই বর্তমানে ধার করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। গত মঙ্গলবার মোট লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা, তার ৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকাই নিয়েছে জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। একই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ চার ব্যাংক রেপো ও এএলএস হিসেবে ধার করেছে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেদের সক্ষমতার চেয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আমদানির ঋণপত্র (এলসি) বেশি খুলে ফেলেছে। এখন এলসি দায় সমন্বয়ের জন্য প্রতিনিয়ত তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে
মূল্যস্ফীতির চাপ ও বকেয়া ভর্তুকির দায় মেটানোর বাড়তি ব্যয় মাথায় রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে