শাহ মোহাম্মদদেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছে থেকে প্রতিবছর শত কোটি টাকার ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় করলেও সরকারের কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেট ভরছেন। এতে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমন শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্নভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর আদায় করছে তবে সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) যা ইংরেজিতে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) নামে পরিচিত। দেশের ১৭ কোটি মানুষের সবাই কম-বেশি ভ্যাট দিয়ে থাকেন। তবে ভ্যাটের সব অর্থই সরকারের কোষাগারে জমা হয় না। অধিকাংশ যায় দুষ্টজনদের পকেটে। এসব দুষ্টজনরা ১৩টি বিভিন্ন কৌশলে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে চলেছে এমন তথ্য পাওয়া যায় বিভিন্ন অনুসন্ধানে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের বেশকিছু শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার তথ্য খুঁজে পেয়েছেন তারা। সম্প্রতি এমন ১০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে একটি তালিকা বানিয়েছে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) বিভাগ। ইতোমধ্যে তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ নিরীক্ষা চালাচ্ছে এলটিইউ। তালিকায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে দেশের বেসরকারি ব্যাংক, ওষুধ উৎপাদনকারী, গ্যাস ফিল্ড ও বেশকিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, ভ্যাট ফাঁকির ১৩টি কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিছু কিছু ব্যবসায়ী ঢাকা শহরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ভ্যাট চালান (মূসক-১১ ও মূসক-১১/ক) ছাড়া পণ্য পরিবহন করে থাকে, যা ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতারই বহিঃপ্রকাশ। ডুপ্লিকেট বা নকল ভ্যাট চালান ব্যবহার করা। একই ভ্যাট চালান একাধিক বার ব্যবহার করা। পণ্য বিক্রির তথ্য বিক্রয় রেজিস্ট্রারে সঠিক উল্লেখ না করা বা আংশিকভাবে লিপিবদ্ধ করা। হিসাবযন্ত্র বা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ও পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিন ব্যবহার না করা। ইসিআর এবং পিওএস নষ্ট করে রাখা। আবার ইসিআর বা পিওএস চালান ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সে চালান এবং মূসক-১১ চালান দুটোই ব্যবহার করা, দাখিলপত্র প্রদানের সময় ইসিআর এবং পিওএস চালান সংযুক্ত করা। নিজস্ব বিক্রয় ভাউচার ব্যবহার ও ভোক্তাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে তার একটি বড় অংশ সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া বা সময়মতো প্রদান না করা। সেবা খাতের হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুডের দোকান, ক্যাটারিং সার্ভিসং, বিরিয়ানি হাউস, বিউটি পার্লার, মিষ্টির দোকান, ডেকোরেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনের বিক্রয় তথ্য ছোট ছোট কাঁচা সিøপে রাখে, এই তথ্যপ্রমাণাদি যাতে খুঁজে না পাওয়া যায় এজন্য জন্য লুকিয়ে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ক্রয়-বিক্রয় রেজিস্ট্রার ও ভ্যাট চালানসহ কোনো ধরনের হিসাব এবং দলিলাদি ব্যবহার বা সংরক্ষণ না করা। বিভিন্ন অভিযান বা তদন্তের সময়ে তদন্ত দলকে প্রয়োজনীয় তথ্য বা দলিল প্রদানে চরম অনীহা প্রকাশ ও সহযোগিতা না করা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা গেলে ফাঁকি বন্ধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। যে পদ্ধতিতে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে সেটি আগে বন্ধ করতে হবে। কর ফাঁকি ধরলেই হবে না, আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে হবে। তাহলেই কেবল কর ফাঁকি দেওয়া বন্ধ হবে বলে তিনি মনে করছেন। এক তথ্যে জানা যায়, তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো গত পাঁচ বছর কী পরিমাণ ভ্যাট দিয়েছে ও কোন কোন উৎস থেকে দিয়েছে তা নিরীক্ষা করে দেখছে এনবিআর। উৎপাদন প্রক্রিয়া, মজুদ পণ্য ও সেবা, উপকরণ পরিদর্শন, মূসক পুস্তক, বাণিজ্যিক দলিল, হিসাব ও নথিপত্র, ব্যাংক লেনদেন, অডিট রিপোর্ট জমা দিতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলটিইউ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এনবিআরের তালিকায় স্থান পাওয়া কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, বহুজাতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর আগে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে উদঘাটন করা হয়েছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ড লুবনানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিক্রি পর্যায়ে ভ্যাট, বাড়িভাড়াসহ বিভিন্নভাবে সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভ্যাট গোয়েন্দাদের এক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীসহ সারা দেশে ১০৮টি বিপণিকেন্দ্রে ভ্যাট বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর) ফাঁকির এমন তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর ইতোমধ্যে লুবনানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে। লুবনানের তিনটি ব্র্যান্ড রয়েছে। রিচম্যান অ্যাপারেলস, ইনফিনিটি মেগা মল ও লুবনান এথনিক উইয়ার নামে লুবনান তাদের পণ্য বিক্রি করে আসছে। রাজধানীর বড় বড় শপিং মলসহ সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ১০৮টি বিপণিকেন্দ্র রয়েছে। একজন গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে লুবনানের অফিস ও কারখানায় তদন্ত পরিচালিত হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ভ্যাট গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠানটির মূসক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রায় ৩৫.১৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল তদন্তের স্বার্থে দলিলাদি দাখিলের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে তলব করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিলকৃত বার্ষিক সিএ রিপোর্ট, প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্যান্য দলিলাদি হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক অনলাইন ভিত্তিক খাদ্য সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠন ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ৩.৪০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এ নিয়ে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে এনবিআর। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর জানায়, ফুডপান্ডায় অভিযানে জব্দ করা নথিপত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে মোট ২৭.৫৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে তারা ১৫.৬৫ কোটি টাকা বিক্রির তথ্য প্রদর্শন করেছে। এ ক্ষেত্রে পরিহার করা ভ্যাট হচ্ছে ৫৩.১০ লাখ টাকা। বাড়িভাড়া বাবদ ৫৬.৬৬ লাখ টাকা এবং উৎসে কর কর্তন বাবদ ১.২৪ কোটি টাকা। এখানে মোট দাঁড়ায় ২.৩৪ কোটি টাকা। আর অপরিশোধিত ভ্যাটের উপর সুদ বাবদ ১.৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৩.৪০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান হতে খাদ্য সংগ্রহ করে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করে ফুডপান্ডা। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো হতে কমিশন নেয় তারা। প্রতিষ্ঠানটি ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক (অনলাইন প্ল্যাটফর্ম) ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করে। এর সেবার কোড এস-০৯৯.৬০। এতে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাড়িভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। সাম্প্রতিক এক অভিযানে ভ্যাট ফাঁকির অথ্য পেয়েছে অনলাইন কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান পেপারফ্লাইয়ের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট ফাঁকির বিপুল অনিয়ম পাওয়া গেছে। পেপারফ্লাই রাজধানীর গুলশান সার্কেলে অনলাইন কুরিয়ার সার্ভিস হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণ করে। এর ভ্যাট নিবন্ধন ০০০০৫৮৮১৫-০১০১। সারাদেশে পেপারফ্লাইয়ের ৮৭টি ডেলিভারি সেন্টার রয়েছে। অনলাইন নিবন্ধন অনুসারে, পেপারফ্লাই অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজসহ অন্যান্য মাধ্যম হতে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকের নিকট সরবরাহ করে থাকে। এই ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। অভিযানে আরও দেখা যায়, ওই দুই মাসে সংগৃহীত ভ্যাট পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা সেটা করেনি। দেশের বিজ্ঞাপন সংস্থাও বাদ নেই ভ্যাট ফাঁকির তালিকা থেকে। মেলোনেডস নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রায় ৪.৯২ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এটি ঢাকার গুলশান-১-এর প্লট-৮/এ, রোড-১৪৩-এ অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির মূসক নিবন্ধন নং- ০০০৩৩৪২৭৩। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সেবা খাতের বিপরীত উৎসের মূসক বাবদ মাত্র ৬৯৭ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৬,৪৫,০৪৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত তথ্য গোপন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি বেকারি প্রতিষ্ঠনে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সাম্প্রতিক সময়ে সুমিজ হট কেকে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ১০.৫২ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়। ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন এবং মেশিনে প্রস্তুতকৃত কেক হাতে তৈরির ঘোষণা দিয়ে ভ্যাট ফাঁকির দায়ে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল সুমিজ হট কেক লিমিটেড ঢাকায় অবস্থিত কারখানা এবং প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত। রাজধানীসহ সারাদেশে এই কেক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ২৬টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এসব বিক্রয়কেন্দ্রে কারখানায় উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি হাতে তৈরির কেক ঘোষণা দিলেও মূলত মেশিনে কেক তৈরি করে আসছে। মেশিনে তৈরির কেক’র ওপর ১৫% হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। কিন্তু হাতে তৈরি করলে তা ৫%। এতদিন সুমিজ কেক ৫% হারে ভ্যাট দিয়েছে। মোহাম্মদ ট্রেডিং নামের টাইলস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যসহ নানা ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি বলেন, ভ্যাট আইনে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র জানায়, মোহাম্মদ ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানটি আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্টার সিরামিক লিমিটেডের কাছ থেকে বিভিন্ন সাইজের (আকার) টাইলস ও স্যানিটারি আইটেম কিনে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্যাটযোগ্য সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য রাজস্ব যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ও সঠিক বিক্রয় তথ্য গোপন করে ঘোষণা বহির্ভূত স্থানে মূসক সংক্রান্ত দলিলাদি সংরক্ষণ করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল। এক তথ্যে দেখা যায়, সারা দেশে ৩০ লাখেরও বেশি দোকান রয়েছে। কিন্তু ভ্যাট দেন মাত্র ৬০ হাজার দোকান মালিক। এই ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে সারা দেশের সব দোকানে ইসিআর ও পিওএস মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। দোকান মালিকদের, তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ইসিআর মেশিন স্থাপন নিশ্চিত করতে বলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে যেসব দোকান মালিক ইসিআরের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি না করে ভ্যাট ফাঁকি দেবেন, তাদের চিহ্নিত করতে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। দেশের অধিকাংশ দোকান মালিকই তাদের প্রতিষ্ঠানে হিসাব-যন্ত্রের ব্যবহার করেন না। কেউ কেউ ব্যবহার করলেও, ভ্যাট ফাঁকি দিতে গিয়ে রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কখনো কখনো ইসিআর মেশিনটি নষ্ট বলে চালিয়ে নিচ্ছেন। অভিযোগের তীর শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি হচ্ছে ১৩টি কৌশল টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর সারা দেশে দোকান ৩০ লাখ। ভ্যাট দেন মাত্র ৬০ হাজার দোকান মালিক ।
লুবনান – ৪.৫ কোটি
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স- ৩৫.১৭ কোটি
ফুডপান্ডা – ৩.৪০ কোটি
সুমিজ হট কেক- ১০.৫২ কোটি
মেলোনেডস – ৪.৯২ কোটি
মোহাম্মদ ট্রেডিং- ৩৯ কোটি টাকা