গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষের সমতা বিধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে ২০০০ সালের ৯ জুলাই পল্লী দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের ৫২টি জেলার ৪০৩টি উপজেলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকা-ে ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ আদায়ের হার শতকরা ৯৮ ভাগ। চলতি অর্থ বছরে ১৭৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে প্রতিষ্ঠানটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ১ হাজার কর্মকর্তার অংশগ্রহণে এক বিশেষ সম্মেলনে উপরোক্ত তথ্যাবলী জানানো হয়।
পিডিবিএফ’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত পরিচালক আমিনুল হক, মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম ও শহীদ হোসেন সেলিম।
ড. প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে সমবায় খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণদান কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বাড়ি একটি খামার ও পিডিবিএফ’র মতো জনকল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি পিডিবিএফ কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে লোভ লালসার উর্ধ্বে ওঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কারো কোনো কর্তব্য কাজে গাফিলতি ও শৈথিল্যতা দেখা দিলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।