মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মানসিক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী মোকলেমা ওরফে পাতাই (২৭) নামের এক বিধবার শ্লীলতাহানী ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার দক্ষিন পলাশবাড়ী পাথারীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে। শ্লীলতাহানীর শিকার প্রতিবন্ধী বিধবা উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের ধৈল্লাশাহ পাড়ার মোশাররফ হোসেনের মেয়ে। ঘটনাস্থল সরেজমিন গেলে প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের পাথারীপাড়ার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী সাহেদা খাতুন সাইদুলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম ওই ক্লিনিকের আয়া ছাবেদা খাতুন ও এলাকাবাসী জানান, দুপুরে পাতাই ক্লিনিকে পাতলা পায়খানার ঔষধ নিতে গেলে তাকে একা পেয়ে কমিউিনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মির্জা গোলাম ক্লিনিকেরই একটি কক্ষে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানী ঘটায়। এর কিছুক্ষন পর সাহেদা ও শাহানাজ ঔষধ নিতে ক্লিনিকে গেলে পাতাইয়ের চিৎকার শুনে তারা মির্জা গোলামের কক্ষে প্রবেশ করলে ধর্ষনের দৃশ্য দেখে পাতাইকে উদ্ধার করে ধর্ষক মির্জা গোলামকে কক্ষে আটকে রাখে। পরে এলাকার কিছু মাতববর এসে তাকে মুক্ত করে। পাতাই জানায়, তাকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। পরে অন্য আরেকটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে একইভাবে দ্বিতীয়বার ধর্ষন করে। চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি কুচক্রী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে ও ধর্ষিতার বাবা দিনমজুর মোজাম্মেলকে নানা ধরনের প্রলোভন অফার করেছে ও মামলা না করারও পরামর্শ দিচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আজমল হক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মান্নানকে পুরো ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ হারেসুল ইসলাম জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত হয়ে এস,আই পলাশকে ঘটনা তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। তবে ভিকটিমের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগপত্র পাওয়া যায়নি অভিযোগপত্র পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ঘটনার পরের দিন হতে ধর্ষক মির্জা গোলাম অফিসে যায়নি বলে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড সদস্য মাজেদুর রহমান মিঠু জানান।