গরম কমলেই কমে কথায় কথায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা। কাজের ফাঁকে বিশেষ মনেও থাকে না পানি খাওয়ার কথা। সারাদিনে এক বোতল পানি খাওয়া হয় কিনা, তা নিয়েও আছে সন্দেহ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এ ভাবে দিনের পর দিন চলতেই থাকে। কিন্তু তা কি ঠিক? সত্যিই কি তৃষ্টা পায় না?
শরীরে পানির ঘাটতি হলে তৃষ্টা পায়। কিন্তু তা সব সময়ে বোঝা যায় না শীতকালে। কিন্তু শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে শরীর খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায়। যেমন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ঠিক তেমনই। এ সময়ে পানি কম খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী হতে পারে শীতে কম পানি খেলে?
১. শরীরের ভিতরের যে আর্দ্র ভাব প্রয়োজন, তা আর থাকে না টানা পানি কম খাওয়া হলে। ফলে ডিহাইড্রেশনে ভুগতে হতে পারে এই সময়ে।
২. শরীরের ভিতরটা বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩. পানি কম পেলে শরীরের ভিতরের অ্যাসিড বেশি হয়ে যেতে পারে। তার ফলে টানা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
৪. পানি শরীর সতেজ রাখে। তার থেকে কর্ম ক্ষমতাও বাড়তে পারে। পানি কম খাওয়া হলে শরীর শুকিয়ে যায় ভিতর থেকে। ক্লান্তি আসে। কমে যেতে পারে কাজের ক্ষমতাও।
শীতের সময়ে তেষ্টা না পেলেও তাই নিয়ম করে পানি খাওয়া জরুরি। খুব ঠান্ডা দিনে হাল্কা উষ্ণ জল মাঝেমাঝে খাওয়া গেলে ভিতর থেকেও আরাম পাওয়া যাবে।