1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

ভাতার দরকার নাই মুক্তিযুদ্ধে লুট হওয়া গরু বাছুর ফেরত চাই : মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়া সরকার

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
  • ১৪৮ বার দেখা হয়েছে

উপাধ্যক্ষ এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম মাসুম : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়া সরকার। ১৯৭১ সালে বর্বর পাকসেনারা নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে নসু মিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। প্রশিক্ষন নেওয়ার জন্য ভারতের ওমপিনগর ক্যাম্পে যান এবং প্রশিক্ষন নেন। প্রশিক্ষন শেষে মেলাঘর ক্যাম্পে ফেরেন। বিশালঘর থানায় অবস্থান নিয়ে সালদা নদী, সেনের বাজার, নাগাইস, বরদসিয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেন। পরে কুমিল্লার দাউদকান্দি, হোমনা ও বাঞ্চারামপুরের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে আংশ নেন। সে সময় ঘাঘটিয়ারা মসজিদ থেকে পাক বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে সারেন্ডার করিয়ে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়া সহ যোদ্ধা হিসাবে যাদের পেয়েছেন তারা হলেন আখাউরার মুকুন্দপুর গ্রামের তাজউদ্দিন, বুড়িচং উপজেলার সিদলাইয়ের সামসু মিয়া, নজরুল ইসলাম, নাগাইসের সামসু মিয়া, পুমকারার দেলোয়ার, হোমনার তাহেরসহ আরো অনেকে। মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়াদের কমান্ডার ছিলেন মেজর হায়দার। ভারতে প্রশিক্ষন নেওয়ার সময় মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে তার কথা হয়। সালদা নদীতে যুদ্ধ চলাকালিন তাদের নেতা ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী।

মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , যে লক্ষ্য যুদ্ধ করেছি আজও লক্ষ্য পূরন হয়নি। বরং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই আজ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বহাল তবিয়তে আছে। ৭১-এ আমি স্বাধীনতা সংগ্রামে রনাঙ্গনে সাহসী ভূমিকা রাখলেও স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আমার নাম নাই। মুক্তিযোদ্ধা নসু মিয়া আরো বলেন ভারতীয় তালিকা নং-৩১৩৮১,জেনারেল এম এ জি ওসমানী্র মেজর হায়দারের তালিকা নং-৮৩৮৩০ এ তার নাম আছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখাতে পারিনি টাকার জন্য। অনেক চেস্টা করেছি আর দরকার নাই আমার এখন একটাই দাবি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার গরু বাছুর গুলো ফেরত দিক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমি যুদ্ধে যাওয়ার কারনে আমার ঘরের বাছুরসহ ১টি গাভী ২টি বলদসহ মালামাল পাশের গ্রামের রাজাকার কতৃক লুট হয়। ওই রাজাকাররা এখনও বেচে আছে। রাজাকারের ছেলে মেয়েরা এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আামি সরকারের কাছে আমাদের লুট হওয়া ধন সম্পদ ও গরু গুলো ফেরত চাই। পাশা পাশি আমার দাবি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের যারা মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে ওদের বড় ধরনের জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হোক। আমাকে দেওয়া ভাতা আমি ফেরত দিয়ে দিতে চাই।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com