প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে মেইঞ্জের রাইটব্যাক ড্যানিয়েল ব্রোসিনিস্কির ক্রস ফ্রেইবুর্গের সেন্টারব্যাক মার্ক অলিভার কেম্ফের হাতে লেগেছিল। মেইঞ্জের খেলোয়াড়েরা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তা নাকচ করে দিয়ে বিরতির বাঁশি বাজান। খেলোয়াড়েরা মাঠ ছাড়ার পর মাঠের রেফারি নির্দেশ পান ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির আবেদন যাচাই করে দেখতে। এরপরই মাঠের এক প্রান্তে গিয়ে স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে রেফারি তাঁর আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন।
ফ্রেইবুর্গের সব খেলোয়াড়কে মাঠে ডেকে আনেন তিনি। মেইঞ্জের সবাই না এলেও বেশ কজন মাঠে উপস্থিত ছিলেন। অবাক করা এই পেনাল্টি থেকে গোল করে মেইঞ্জকে এগিয়ে দেন পাবলো ডি ব্লেসিস। ৭৯ মিনিটে আরও একটি গোল করেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মেইঞ্জ।
এ ম্যাচে আরও একটি কাণ্ড ঘটেছে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বেশ দেরিতে শুরু হয়েছে। কারণ, গ্যালারি থেকে বৃষ্টির মতো ছোড়া হয়েছে টয়লেট-পেপার! ভাবছেন পেনাল্টির প্রতিবাদে? ভুল। এটা ছিল সোমবার রাতে ম্যাচের সূচির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যে অদ্ভুতুড়ে পেনাল্টির প্রতিবাদ করেছেন খেলোয়াড়েরাও। পাবলো ডি ব্লেসিস ম্যাচ শেষে সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘ভিএআর ফুটবল নয়। এতে আবেগটা হারিয়ে যায়। এটা আমার পছন্দ হয়নি। আমি পুরোনো ফুটবলই ভালোবাসি, যেখানে বেশি আবেগ রয়েছে, কোনো ভিডিও রেফারি নেই যা আবেগ কেড়ে নেয়।’
ব্লেসিসকে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে অবাক করেছে তা হলো, রেফারি তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমার শট নেওয়ার সঙ্গেই এই অর্ধের (প্রথমার্ধ) খেলা শেষ হবে।’ কোনো ফিরতি শটও পাননি। মাত্র একটাই সুযোগ ছিল। কিন্তু এই সুযোগ থেকেই বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের হাতে লাগার পর সেই পেনাল্টি দেন রেফারি। ফ্রেইবুর্গের ক্রীড়া পরিচালক জোচেন সায়ার শুধু বলেছেন, ‘এটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি করল। আমরা ভেবেছিলাম প্রথমার্ধ শেষ।’