মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যকর-উদ্যোগের ফলে বিগত ৫ বছরে দুধের উৎপাদন ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টন থেকে প্রায় ৭৩ কোটি টন, মাংস ২৩ কোটি ৩০ লাখ টন থেকে প্রায় ৬২ কোটি টন এবং ডিমের সংখ্যা ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ থেকে বেড়ে প্রায় একহাজার ১৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশে দুধের চাহিদা প্রায় ১৪৭ কোটি টন, মাংসের চাহিদা প্রায় ৭১ কোটি টন এবং ডিমের চাহিদা প্রায় ১ হাজার ৬৭৫ কোটিটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য দেন। সভায় মৎস্য সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি মো. আইনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে দেশে মোট কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫ লাখ, ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৭১ লাখ। প্রাণিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে দেশের জনগণের কোরবানির শতভাগ চাহিদা দেশীয় পশু থেকেই মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশ এখন মাছের পাশাপাশি ছাগল উৎপাদনেও চতুর্থস্থানের অধিকারী। এছাড়া, দেশে পোলট্রিখাতে বর্তমানে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং গার্মেন্টসের পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম এখাতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ নানাভাবে জড়িত। সরকার দুধ-উৎপাদনে স্বয়ংসম্পপূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দুগ্ধখামারীদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদে ঋণপ্রদান করে যাচ্ছে। এখাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং এপর্যন্ত মোট ৬৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
দেশস্বাধীনের পর এই প্রথম ‘প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ-২০১৭’ পালন করা হচ্ছে। আগামী ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী এ সপ্তাহ পালিত হবে।