বাংলাদেশের কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যফাঁসের বিষয়টি এখন টক অব দ্য বিশ্ব। সরকার বলছে, তথ্য ফাঁস হয়নি, কারিগরি ত্রুটিতে লাখ লাখ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে গেছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের (ওআরজিবিডিআর) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য ফাঁস হয়। এ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দাবি উঠেছে। আমার সংবাদ অনুসন্ধান চালিয়ে ৩১টি চক্র ও শতাধিক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে। জড়িত ব্যক্তিরা আগারগাঁও নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বলে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা অরক্ষিত থাকায় ক্ষুব্ধ দেশের অধিকাংশ মানুষ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন তথ্য পাচারে অনেক হিসাব-নিকাশেই নাগরিকদের ভাবিয়ে তুলছে।
জানা গেছে, একজন নাগরিকের ৪০ ধরনের তথ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্ভারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলা ও অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ সংখ্যা অর্ধশত। রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিও এতে সংরক্ষিত। এ ছাড়া ব্যক্তিপর্যায়ে মোবাইল নম্বর, ইমেইল, চিকিৎসার রিপোর্টসহ নিত্যদিনকার অনেক সেবাই এখন অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ভূমিসেবা, আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশসহ অনেক স্পর্শকাতর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিক্ষাগত ফলাফল, বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সনদসহ ব্যক্তির ছবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা আছে। বাংলাদেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সর্বশেষ ঘটনার খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ। গত ৭ জুলাই তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এবারের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। বিস্তারিত