নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। দুপুরের পর শরতের আকাশ জুড়ে জড়ো হয় বর্ষার কালো মেঘ। বেলা পৌনে দুইটার দিকে ভরা ভাদ্রে নামে শ্রাবণের মুষলধারার বৃষ্টি। আগের দিন গত বুধবারও দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টি ছিল।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফর বলছে, আগামী আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে এমন বৃষ্টি। অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, দেশের সব বিভাগেই মাঝারী ধরনের বৃষ্টি / বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর আগামী দুই দিন ‘বৃষ্টি / বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকতে পারে।’ আর এর পরের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বলেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি / বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার ঢাকায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত যথাক্রমে ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৫.৭ এবং কুতুবদিয়ায় ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ১০০ মিলিমিটার।