অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও পর্ষদে বিশৃঙ্খলার কারণে মূল লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ও আমানত দক্ষতার সঙ্গে দেশে কাজে লাগানোর জন্যই এনআরবিসি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে প্রবাসীরাও এখন ব্যাংকটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনআরবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র শূন্য দশমিক ২০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
আর সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অনিয়ম সামনে এসেছে এগুলোর সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়াও। এমনকি অনিয়ম চাপা দিতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলকে মিথ্যা তথ্যও দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনআরবিসি ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার পদে লোক নিয়োগের পরীক্ষায় পর্ষদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া।
এ বিষয়ে কথা বললে অর্থনীতি বিশ্লেষক ইকতেদার আহমেদ দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, মূলত অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই রাজনৈতিক বিবেচনার ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকগুলো প্রথম থেকেই শৃঙ্খলার মধ্যে ছিল না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো ব্যাংকগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারেনি। যার কারণে ব্যাংকগুলোতে নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের অনিয়ম-জালিয়াতির সাথে ব্যাংকের বোর্ড ও এমডি জড়িত। বোর্ড মেম্বারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এমডিরা এসব ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যাংক খাতে বর্তমানে কোনো সুশাসন নেই। সুশাসন না ফিরলে অনিয়মও বন্ধ হবে না এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমবে না।বিস্তারিত