দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে ঈদের ছুটির পর আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে স্কুল। এই তীব্র গরমে স্কুলে সন্তানরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন অনেক অভিভাবকরা।
এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেছেন কেউ কেউ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সালমা আক্তার তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। সন্তানদের স্কুল খোলা রোববার। কিন্তু ঢাকায় আসার পর বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে বলছিলেন, আগামী কয়েক দিন তাঁর সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন না। পড়াশোনার ক্ষতি যদি হয়, হোক। সালমা আক্তারের মতো অন্য অভিভাবকরাও সন্তানদের নিয়ে চিন্তান্বিত।
তাপদাহের ব্যাপারটি ইতোমধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান। তবে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, কয়েক দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা দরকার। কারণ, শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গত বছরের মতো এবারও গরমে স্কুল বন্ধ থাকবে কিনা– স্পষ্ট নয়। তবে ঝড়-বন্যার মতো হিট অ্যালার্টকেও দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অবলম্বনের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম তারিক আহসান।