ছাগলকান্ডে বেরিয়ে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের হাঁড়ির খবর। হারান এনবিআরের পদ, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। এবার ছাগলের রশির প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ খামারও। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের খবরে অভিযোগ উঠে এসেছে, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক শাহ ইমরান হোসেন মূলত খামারের আড়ালে একজন গরু চোরাচালানকারী। তিনি ও তার সিন্ডিকেট ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাই পথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে।
এরপর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করেন। কোরবানির বাজারে গরু-ছাগলের দামেও সীমাহীন বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। এর পরই অভিযোগ ওঠে মোহাম্মদপুরের বছিলায় খালের জমি দখল করে খামার নির্মাণ করে সাদিক অ্যাগ্রো। এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গতকাল অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর দুই স্থাপনা উচ্ছেদ করে মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়। এ অভিযানে পতন ঘটল গরু মাফিয়া সাম্রাজ্যের। মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং ও নবীনগর হাউজিংয়ে গতকাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। গতকাল রামচন্দ্র খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের খবর পেয়ে সকাল থেকে টিনের ঘর, রিকশা গ্যারেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নিতে থাকে লোকজন। এ সময় তারা বলেন, ঘর ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল তাদের কাছ থেকে আদায় করতেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন দুপুর ১২টায়। পরে কাগজপত্র অনুযায়ী সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস ও ছাগলের খামার উচ্ছেদ শুরু হয়। ভবনটির নিচতলায় সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস, গরু-ছাগলের খামার। আর দ্বিতীয় তলায় মালিকরা থাকেন। অভিযানে প্রথমে সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।বিস্তারিত