প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পরিচালনা পর্ষদ যৌথভাবে লুট করে বেসিক ব্যাংক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পছন্দের লোক বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু এই লুটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তখন ব্যাংকটির পর্ষদে ছিলেন সচিব, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, সাবেক মহাপরিচালক, সাবেক কাস্টমস কমিশনারসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দেওয়ায় তিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেসিক ব্যাংক লুটপাটে আবদুল হাই বাচ্চু একা নয়, পুরো পর্ষদই জড়িত ছিল। ব্যাংকের তৎকালীন এমডিসহ পর্ষদের সব সদস্যকে বিচারের আওতায় আনার জন্য তাঁদের সম্পদের হিসাব নেওয়া উচিত সরকারের।
শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর যোগদানের মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকে লুটপাটের কাজ শুরু হয়। ব্যাংকটি লুটপাট করা হচ্ছে জেনেও তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০০৯-১৪ সালে বাচ্চুর মেয়াদে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটির সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়। লুটপাটের ফলে বেসিক ব্যাংকের দেওয়া ঋণের ৬৪ শতাংশই এখন খেলাপি। গত ১০ বছরে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে ৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।বিস্তারিত