জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে শিক্ষা খাতে লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গতকাল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় শিক্ষা খাত নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন পাঁচজন সংসদ সদস্য।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ খাতে ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা মঞ্জুরি দাবির বিপক্ষে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন ছয়জন সংসদ সদস্য। একজন অনুপস্থিত থাকায় আলোচনায় অংশ নেন পাঁচজন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয়। একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার ২০-২৫ বছর পরে বেতন হচ্ছে। শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর মৃত্যু হচ্ছে, তবুও অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। শিক্ষামন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিলেও দুর্নীতির বিষয়ে কিছু বলেননি। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, স্কুল-কলেজে ভবন হয়েছে কিন্তু শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। আমার নির্বাচনি এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ৪৩টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। মাত্র পাঁচটি রুম ব্যবহার হয়। এটা অপব্যয়! এ যেন আমার পাকা বাড়ি, পাকা পায়খানা আছে, কিন্তু খাবার নেই! দেখা যাচ্ছে, এক বছর আগে যাদের এমপিওভুক্তির চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের পিয়ন-চাপরাশি ১২ জনের বেতন হয়েছে, অন্যদের হয়নি। এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন টেবিলে যেতে হয়। ধাপে ধাপে টেবিল, মানে ধাপে ধাপে দুর্নীতি। একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার ২০-২৫ বছর পরে বেতন হচ্ছে।বিস্তারিত