1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ডলারের বাজার আবার অস্থির Govt grants 10-year tax holiday for renewable energy firms Mobile surveillance used in pinpointing victims’ location: Commission গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির পরিকল্পনায় ডিসেম্বর ২০২৫ ভোটার তালিকায় ত্রুটি নেই দাবি ইসির সরকারের এক পক্ষ ২০২৬-এর এপ্রিলে, বিএনপিসহ সমমনারা চায় ২০২৫-এর জুনের মধ্যে ভোট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও বিভিন্ন দল লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ফের আন্দোলনে নামছে বিএনপি দ্রুত সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি, চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি

২১০০ সালে বিশ্বে জনসংখ্যা হবে ১ হাজার ২০ কোটি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৯ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে জনসংখ্যা। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৮২০ কোটি মানুষ বসবাস করলেও কয়েক দশকেই ভয়াবহভাবে পালটে যেতে পারে দৃশ্যপট। আগামী ৬০ বছরের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চূড়ায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টাস-২০২৪ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৮০-এর দশকের মাঝামাঝি শীর্ষে ওঠা জনসংখ্যার পরিমাণ হবে এক হাজার ৩০ কোটি। তবে এর পরই এ সংখ্যা উলে­খযোগ্য হারে কমতে থাকবে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। শতাব্দী শেষে জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে এক হাজার ২০ কোটিতে। ২১০০ সাল পর্যন্ত এ স্তর বিদ্যমান থাকবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০৮০-এর দশক নাগাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষে পৌঁছাবে। ওই সময় বিশ্বে মানুষ হবে এক হাজার ৪০ কোটি। ২১০০ সাল পর্যন্ত একই স্তর বিদ্যমান থাকবে। প্রতিবেদনের আগের সংস্করণগুলোয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে এখন সংশোধিত তথ্য বলছে, চলতি শতকের শেষ নাগাদ এ পূর্বাভাসের তুলনায় ২০ কোটি মানুষ কম থাকবে।

নতুন প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া বলেছেন, ‘জনসংখ্যার বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। আগে উচ্চ জন্মহারের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এমন কিছু দেশে জন্মহার তার চেয়ে কম দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নারীরা নব্বইয়ের দশকের তুলনায় এখন গড়ে এক সন্তানের কম জন্ম দিচ্ছেন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

আরও বলা হয়েছে, অর্ধেকের বেশি দেশে নারীদের জীবিত সন্তান জন্মদানের হার ২ দশমিক ১ শতাংশের নিচে নেমেছে। অন্যদিকে চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও স্পেনসহ এক-পঞ্চমাংশ দেশে নারীপ্রতি জীবিত সন্তান জন্মর হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ। যাকে জাতিসংঘ বলছে, ‘অতিনিম্ন জন্মহার’।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লিখিত ৬৩টি দেশে বর্তমানে বিশ্বের ২৮ শতাংশ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জার্মানি ও জাপান। এ দেশগুলো এরই মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির শীর্ষ স্তর ছুঁয়েছে। ২০২০ সালের শীর্ষ স্তরের তুলনায় ২১০০ সাল নাগাদ ইউরোপের জনসংখ্যা ২১ শতাংশ কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। এটি যে কোনো মহাদেশের হিসাবে বড় ধরনের পতন। জনসংখ্যার এ পতনকে পুরোপুরি নেতিবাচকভাবেও দেখছেন না অনেকে।

তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে কার্বন নিঃসরণ করে এমন কার্যকলাপ কমতে পারে। এছাড়া খাদ্য উৎপাদন, বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের জন্য বন উজাড়ের মতো ঘটনাও কমবে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, বর্তমানে বছরে প্রতিটি মানুষ গড়ে ৪ দশমিক ৩ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণে অবদান রাখে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণে অনেক বেশি অবদান রাখলেও পশ্চিমা দেশগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয় না।

জুনহুয়া বলেছেন, ‘বৈশ্বিক জনসংখ্যার শীর্ষ স্তর পূর্বাভাসের আগে অতিক্রম করা একটি আশাব্যঞ্জক বিষয়। এ কারণে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ওপর চাপ কমতে পারে।’

তবে এটিও মনে রাখতে হবে, কর্মক্ষম জনসংখ্যার পতন ও বয়স্কদের সংখ্যা বাড়লে তা পাবলিক ফাইন্যান্সের মতো নতুন চাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক চার্লস গুডহার্ট বলেছেন, ‘সমস্যা হলো কম কর্মী মানে কম প্রবৃদ্ধি ও কম কর। এছাড়া বয়স্কদের জন্য আরও যত্ন, ওষুধ ও সেবামূলক সহায়তা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি ওষুধ ও চিকিৎসাবিজ্ঞান বয়স্কদের রোগের মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে সমাজে অনেক বেশি বৃদ্ধ থাকবেন যাদের দেখাশোনা করার জন্য খুব কম যুবক থাকবে।’

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়ছে এমন দেশগুলোকে উৎপাদনশীলতা ও কর্মজীবন প্রসারিত করতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com