সম্প্রতিই তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে গেল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। এটি যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিরাট পরীক্ষা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তিনি তার বান্দারের কেন এরকম বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন— সেটিরই উত্তর দিয়েছেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের তাফসিরুল কুরআন বিভাগের অধ্যাপক শায়খ ড. আবদুস সালাম আলমাজিদি।
শনিবার আরবি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মুবাশির জানায়, চ্যানেলটির নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘আইইয়ামুল্লাহ’—তে অংশ নিয়ে শায়খ আলমাজিদি এ বিষয়ে কথা বলেন। তার মতে— ‘ভূমিকম্প ও এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য সতর্কতা ও শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যম। এই সতর্কতা এজন্য যে— যাতে মানুষ তার প্রতিপালকের সাথে সার্বক্ষণিক সম্পর্ক জুড়তে প্রয়াসী হয়।’
শায়খ ড. আবদুস সালাম আলমাজিদি বলেন, ‘আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেন মানুষকে তাঁর কুদরত ও ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য এবং এজন্যও যে- মানুষ যেন তার প্রতিপালকের সক্ষমতা ও সামর্থ্য প্রত্যক্ষ করতে পারে এবং শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।’
শায়খ আলমাজিদিকে প্রশ্ন করা হয়- ‘তাহলে ভূমিকম্পে এত সংখ্যক শিশু মারা গেল— তারাও কি শিক্ষাগ্রহণ করবে?—এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাগ্রহণটা শিশুদের জন্য নয়; বরং এটি তাদের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের দেখল। আর যারা মারা গেল, তারা তো শাহাদাতের মর্যাদা পেল।’
হজরত জাবের রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত হওয়া ছাড়া শহীদ সাতজন। যেমন—১. প্লেগে মৃত্যুবরণকারী, ২. পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী, ৩. আঘাতে মৃত্যুবরণকারী, ৪. পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী, ৫. আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারী, ৬. কূপে পড়ে মৃত্যুবরণকারী ও ৭. সন্তান প্রসব যন্ত্রণায় মৃত্যুবরণকারী নারী। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত, মহানবী সা: বলেন, প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী শহীদ। (ইবনে মাজাহ)
-আলজাজিরা মুবাশির থেকে বেলায়েত হুসাইনের অনুবাদ