গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তাদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অন্যকে দায়ী করেছে। ঘটনার পর গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল হোসেন (৫৫) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। এ ছাড়া ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে এ নির্দেশ আসার পরই মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দিতে শুরু করেন।বিস্তারিত