1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুদানের কর্দোফানে ড্রোন হামলায় শতাধিক বেসামরিক নিহত, সংঘাতের তীব্রতা বাড়ছে টেলিভিশন নির্বাচনি অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিষিদ্ধের নির্দেশ দিলো ইসি শাবনূরের জন্মদিনে ‘দুই নয়নের আলো’-র স্মরণ ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি, সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় কোন মৃত্যু নেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২২৫ রানের সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আসছে, আরও অন্যান্য দেশ থেকেও প্রস্তাবনা এসেছে সচিবালয়ে ভাতা বিতর্কে ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্ত দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টাকার অবমূল্যায়ন ২৬ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে

ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে গত দেড় বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ স্থানীয় মুদ্রায় বেশি মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে।

ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক ঋণ ৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ দাঁড়াচ্ছে ১০ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ডলারের দাম স্থিতিশীল ছিল।

ওই সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। ওই দরে এখনকার বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াচ্ছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে গত দেড় বছরে শুধু ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর-ছয় মাসে বৈদেশিক ঋণ ডলারের হিসাবে কমেছে। কিন্তু টাকার হিসাবে তা বেড়েছে।

সূত্র জানায়, বৈদেশিক ঋণ ডলারে নেওয়া হয়। ওইসব ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত দেশের রিজার্ভে যোগ হয়। ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় ঋণগ্রহীতাকে। গ্রহীতা ওইসব টাকা খরচ করেন। ঋণ পরিশোধের সময় আবার বাজার দরে ব্যাংক থেকে ডলার কিনে ঋণের কিস্তি শোধ করেন। এ কারণে ডলারের দাম বাড়লে সার্বিক ঋণের পরিমাণও বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম বাড়ার কারণে বৈদেশিক ঋণের অঙ্ক বাড়ছে। যদিও আগের ঋণ কিছুটা পরিশোধের কারণে ডলারের হিসাবে তা কমেছে। শুধু ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা থাকায় ঋণ পরিশোধের কোনো সুফল দেশ পেল না। উলটো ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে গেল। এজন্য ডলারের বিপরীতে টাকার মানকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ডলারের দাম অস্থির হলে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বড় ধরনের চাপে পড়ে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের পুরো অর্থনীতিতে। ডলারের দাম বাড়লে টাকার মান কমে যায়। হ্রাস পায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এতে বেড়ে যায় বৈদেশিক দায়-দেনা, আমদানি খরচ। বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয়। ফলে চাপ সৃষ্টি হয় মূল্যস্ফীতির ওপর। দেড় বছর ধরে যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে ওঠে এখন আবার কমতে শুরু করেছে। যদিও পণ্যমূল্য বেড়েই যাচ্ছে। আবার ডলারের দাম কমে গেলে স্থানীয় মুদ্রার মান বেড়ে যায়। এতে রপ্তানি পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে। একই সঙ্গে প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের বিপরীতে টাকা কম পান। ফলে তারা রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত হন। এ কারণে ডলারের দামকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে ধরে রাখা হয়। ২০২১ সালের জুনের আগে ১০ বছর ধরে ডলারের দাম স্থিতিশীল ছিল। ফলে দেশকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কোনো সংকট মোকাবিলা করতে হয়নি। এর আগে ২০০১ সালের শেষদিক থেকে ২০০২ সালের মাঝামাঝি সময় প্রবল ডলার সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তখন রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। এক কিস্তির এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ৩৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। ওই অর্থ কারেন্সি সোয়াপ বা ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। পরের কিস্তিতে তা শোধ করা হয়েছিল।বিস্তারিত

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com