চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা হবে জানিয়ে সে সময় তিনি ইউক্রেন সংকটজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। অর্থ জোগাড়ের নিশ্চয়তা না থাকলেও ওই সময়ে বাজেট ঘোষণা হয় ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার। অর্থবছরের প্রথম অর্ধাংশে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ বাজেটের এক-চতুর্থাংশও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৈরি সর্বশেষ মাসিক রাজস্ব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মন্ত্রণালয় ও সরকারি বিভাগগুলো অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে বরাদ্দকৃত বাজেটের মাত্র ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের মাত্র ১৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। আর পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ। যদিও সরকারের সংস্থাগুলো দাবি করছে, অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজেট অনেক গতি পাবে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের পর্যবেক্ষণ হলো সরকার এখন অর্থ সংগ্রহ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে। বিষয়টি এখন রীতিমতো বড় ধরনের সংকটে রূপ নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঘাটতি বাজেট পূরণে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে লক্ষ্যমাফিক অর্থ সংগ্রহ করা যায়নি। বিদেশী উৎস থেকে চলতি অর্থবছরে ঋণ নেয়ার নিট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে নেয়া নিট বিদেশী ঋণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকায়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে নিট ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যাংক খাত থেকে ২৪ হাজার ৭১৭ কোটি টাকার নিট ঋণ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকেও এ সময়ে সরকারের নিট ঋণ বাড়েনি।বিস্তারিত