আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের চাপ কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এমনিতেই ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পর বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণসুবিধা সীমিত হয়ে আসবে বাংলাদেশের। আসন্ন ওই পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক বছর আগে থেকেই সেই প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (্আইএমএফ)। সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুকূলে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ, যার প্রথম কিস্তি ছাড়ও করা হয়েছে। এদিকে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে নিজেদের অর্থায়নে, যা দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আসছে বাজেটে বৈদেশিক ঋণনির্ভরতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। আসছে বাজেটে এটাকে কমিয়ে আনার কৌশল নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। সে সময় বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এই ঘাটতি এখন আরও বেড়েছে। বাজেট ঘাটতি বেড়ে গেলে তা কমিয়ে আনতে সরকার দুই ধরনের উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে, যার একটি বৈদেশিক উৎস ও অন্যটি অভ্যন্তরীণ উৎস। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। বিস্তারিত