দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পর সরকার বেশকিছু পণ্যের আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর পরপরই ভেল্কিবাজির মতো এসব পণ্যের দরপতন ঘটেছে। অর্থনীতিবিদ ও বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব ঘটনা থেকে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যস্ফীতির নেপথ্যে বাজার কারসাজির মুখ্য ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের ভাষ্য, প্রভাবশালী চক্র প্রতিটি পণ্যের বাজারে পৃথক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা সুযোগ পেলেই নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলে নিজেদের ফয়দা লুটছে। যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে মে মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ৫ জুন সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছেছিল ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্য প্রকাশের এই সূচকটি। মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে। এপ্রিলে তা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতিও বেড়েছে। এটি গত মাসে ২৪ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতির একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান, আমদানিজনিত চাপ ও বাজার কারসাজি উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনায়ও দক্ষতা কম দেখা গেছে। চলমান মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো তাদের প্রকৃত আয়, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক পরিবারের জন্যই বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিস্তারিত