ই-কমার্স নামটি একসময় মানুষের কাছে অপরিচিত একটি শব্দ এবং হাসির বিষয় হলেও বর্তমানে এই সেক্টরের সাথে জড়িয়ে আছে কয়েক লাখ উদ্যোক্তার পরিবারের জীবন। বাংলাদেশে ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্যেও গতি পেতে থাকে মূলত ২০১৩ সালের দিকে। সে বছর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক কেনাকাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সময়ে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো দ্রুতগতির তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট (থ্রিজি) সেবা চালু করার মধ্য দিয়ে একটি নতুন সম্ভাবনার মুখ দেখে বাংলাদেশ। ই-কমার্সের শুরু থেকে সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিলো মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করা। যে বাঙালি ১০টা দোকান ঘুরে শতশত পণ্য দেখার পরও পণ্য না কিনে বাড়িতে ফিরে আসে, সে বাঙালি অনলাইনে একটি পণ্য শুধু মোবাইলে বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রয় করবে তা কল্পনা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। তবে অবস্থা ধীরে ধীরে বদলে গেছে। বেশ কিছু পরিসংখ্যান তারই প্রমাণ বহন করে। বেসরকারি এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে আনুমানিক দুই হাজার ৫০০টি ই-কমার্স সাইট রয়েছে। সেই সাথে ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দেড় লাখের বেশি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা মূলত অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন লক্ষাধিক পণ্যের অর্ডার ও ডেলিভারি হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা বেড়ে দুই হাজার ৭৭ মিলিয়ন ডলার হবে। আর আগামী ২০২৩ সালে বাজারের আকার হবে তিন হাজার ৭৭ মিলিয়ন ডলারের। এমন একটি সম্ভাবনাময় খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ই-ক্যাব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছেন গ্রাহকরা।বিস্তারিত