ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর ‘ক্র্যাকডাউন’ পরিচালনা এবং অর্থবহ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারসমূহের জন্য অপরিহার্য হয়ে পরেছে। কাজটা আরও অনেক আগেই করা দরকার ছিলো। কিন্তু এখন আর দেরি নয়।– কানাডার দুই এমপি এভাবেই ফেসবুক নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের সাথে। দুজনেই বেশ জোর দিয়ে ‘ক্র্যাকডাউন’ শব্দটা ব্যবহার করলেন।
নাথানিয়্যাল আরস্কিন স্মিথ সরকারি দল লিবারেল পার্টির এমপি। আর চার্লি অ্যাঙগাস- বিরোধী দল এনডিপির। কিন্তু ফেসবুক নিয়ে সরকার এবং বিরোধী দলীয় সদসের মতামত এবং প্রতিক্রিয়া একেবারেই অভিন্ন। দুই পক্ষই এর উপর সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ চায়। এরা দুজনেই ‘ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যান্ড কমিটি অন ডিসইনফরমেশ ‘এর সদস্য, কানাডিয়ান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা।
‘ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যান্ড কমিটি অন ডিসইনফরমেশন’ গঠিত হয়েছিলো ২০১৮ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এমপিদের সমন্বয়ে এই প্লাটফর্মের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর রাষ্ট্রের অর্থবহ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা। আগামী মাসে ব্রাসেলসে এই কমিটি ফেসবুক থেকে বেরিয়ে আসা কর্মকর্তা ফ্রান্সিস হুগানের বক্তব্য শুনবে।
গ্লোবাল নিউজ জানিয়েছে, সোমবার থেকে আমেরিকার ১৭টি সংবাদমাধ্যম ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ পরিচালনা এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সংবাদ পরিবেশন শুরু করেছে।
গ্লোবাল নিউজের সাথে সাক্ষাতকারে লিবারেল এমপি নাথানিয়্যাল বলেছেন, ফেসবুকসহ সোম্যাল মিডিয়া যে ‘অ্যালগরিদমস’ ব্যবহার করে তার আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
বলাই বাহুল্য, জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টিও ঠিক একই ভাবনা ভাবছে। আগামী মাসে নতুন সংসদের অধিবেশন বসলে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সরকারের ‘ক্র্যাক ডাউন’ প্রস্তাবনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যাবে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলো যে এক ধরনের লড়াই শুরু করতে যাচ্ছে- সেটি মোটামুটি পরিষ্কার।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)