শস্য ও সানফ্লাওয়ার তেল নিয়ে নিরাপদ সামুদ্রিক করিডোর দিয়ে আরও চারটি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে।
রোববার ইউক্রেনের ওডেসা ও চর্নমোর্স্ক বন্দর থেকে শস্যবোঝাই জাহাজ চারটি তুরস্কের (তুর্কিয়ে) উদ্দেশে রওয়ানা হয়। চারটি জাহাজই বসফরাস প্রণালী দিয়ে যাবে। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এই খবর দিয়েছে।
ইউক্রেনের বন্দর ছাড়া শস্যবাহী এই চার জাহাজ প্রথমে তুরস্কে যাবে। তুরস্কের পরীক্ষার পর চারটির মধ্যে দুটি জাহাজ তুরস্কেই নোঙর করবে। অন্য দুটি জাহাজ সেখান থেকে ইতালি ও চীনের উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ ছাড়া একটি খালি জাহাজকে শস্য বোঝাই করতে ইউক্রেনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের মিলিয়ন মিলিয়ন কৃষিপণ্য দেশটিতে আটকা পড়েছিল। আর এতে করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য পণ্যের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
যদিও গত সপ্তাহে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার একটি জাহাজ শস্য নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ে। এতে করে যুদ্ধেরর কারণে যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল তা দূর হওয়ার আশা তৈরি হয়। আর এই শস্য রপ্তানির জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল।
তুরস্ক, জাতিসংঘ, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ীই জাহাজ চারটি প্রথমে তুরস্কে যাবে। তারপর দেশটি জাহাজগুলোতে শস্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে। এর আগে গত মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের কূটনৈতিক তৎপরতায় চুক্তিটি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের শস্যবোঝাই জাহাজ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু না করায় সম্মত হয় রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন বলেছে, দেশটি মাইন পোতা জলপথ দিয়েই জাহাজগুলো নিয়ে যাবে। চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন। তবে দুই পক্ষ রাজি থাকলে মেয়াদ বাড়তে পারে। তবে জটিল এই চুক্তি অন্তত এই মুহূর্তে কার্যকর যে, তার প্রমাণই যেন শস্যবাহী জাহাজের ইউক্রেনের বন্দর ত্যাগ।
এই চুক্তির আপাত সফলতা গত পাঁচ মাসব্যাপী চলা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে বড় ধরনের কূটনৈতিক ব্রেক থ্রো বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন এবং বাকি বিশ্বের জন্য এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগের কথাও বলেছেন।