1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন

নির্বাচনের চাপ প্রবল হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

ডিজিটাল রিপোর্ট

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স এরই মধ্যে পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী এই সরকার কত দিন দায়িত্ব পালন করবে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, কবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে—এ প্রশ্ন এখন সবার। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগে মন্দা, প্রশাসনে অস্থিরতা, পরাজিত শক্তির নানা অপকৌশল—এসব নানা কারণে সরকারের ওপর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার চাপ প্রবল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও চাপ বাড়ছে।

গতকাল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।’ বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিএনপির পক্ষে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জামায়াতের বক্তব্য, ‘অতি জরুরি সংস্কারগুলো সাধন করে বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে যাঁর যাঁর জায়গায় চলে যান।

’ সরকার চাইলে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করছে ছয়টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। সিপিবিও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশা করছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে। গতকাল ভারতের সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার কলকাতায় ভারতে বিদায়ি মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে বসেন। এতে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। কিভাবে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা যায়, কিভাবে নির্বাচন আয়োজন সহজ হয় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।’

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুসারে এই মাসেই অথবা আগামী মাসের শুরুতেই গঠন হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’। এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনে থাকবেন। গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই পরিকল্পনার কথা জানান।

এই কমিশনের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করার চেষ্টা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথনকশাও ঘোষণার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সংস্কারসাপেক্ষ। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করব। এই প্রক্রিয়ায় প্রবেশের পর রাজনৈতিক দলগুলো আসলে ঠিক করবে কতটা সংস্কার চাই। ওই সংস্কারের মেয়াদ বা পরিধির ভিত্তিতে আমি মনে করি নির্বাচনের তারিখ ঠিক হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। তাঁকে বলা হয়, গত ১৫ বছরে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার, ব্যবসাসহ রাষ্ট্রের নানা ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। এটাকে একটি স্বাভাবিক জায়গায় আনতে তো সময় লাগবে। এর জবাবে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘এটার জন্য রাজনৈতিক দল ও সরকার লাগবে। রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতি ছাড়া ও রাজনৈতিক সরকার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’

গত রবিবার নির্বাচন ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ইসির ১৪তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রি জে (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ইসি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।’

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com