1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারপরিবার ও এস আলম, বেক্সিমকোসহ ১০ শিল্প গ্রুপের আর্থিক অপরাধ তদন্ত হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ও ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে সরকার ১১টি তদন্ত দল গঠন করেছে।

তদন্ত দলে রয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আর আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

এর আগে ১০টি গ্রুপের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শুরু হয়েছিল। কে কোন গ্রুপের অপরাধ তদন্ত করবে, তা দুদক ও সিআইডিকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার শেখ হাসিনার পরিবারের আর্থিক অপরাধ তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

শেখ হাসিনার পরিবারের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। এসব গ্রুপের পাশাপাশি গ্রুপের প্রধান ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

জানা গেছে, তদন্ত দলগুলোকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন ও বিধিমালা মেনে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে হবে। অনুসন্ধান ও কার্যক্রমের তথ্যাদির গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা কঠোরভাবে রক্ষা করতে হবে। দলের প্রধানকে নিজ সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। যৌথ অনুসন্ধান দলের তদন্ত কার্যক্রম সমন্বয় করে তার অগ্রগতি ও পরবর্তী কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানাতে হবে।

গত ২ ডিসেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আলাদা চিঠির মাধ্যমে বিএফআইইউকে আইন ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ তদন্তের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এরপর ৬ জানুয়ারি যৌথ তদন্তের নেতৃত্ব ও শর্ত চূড়ান্ত করা হয়।

শেখ হাসিনার পরিবারের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। এসব গ্রুপের পাশাপাশি গ্রুপের প্রধান ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
এ নিয়ে দুদক, সিআইডি ও কাস্টমস গোয়েন্দাকে দেওয়া বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, এসব গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঘুষ, দুর্নীতিসহ অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এসব ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে কর ও শুল্ক ফাঁকি, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য রয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমের হালনাগাদ প্রতিবেদন সময়-সময় সংস্থাগুলোকে বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আন্তসংস্থা টাস্কফোর্স ও বিএফআইইউতে সরবরাহ করতে হবে।

অনুসন্ধান ও তদন্তের আওতায় আসা গ্রুপগুলোর বেশির ভাগের ব্যাংক হিসাব ইতিমধ্যে জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এসব ব্যবসায়ী গ্রুপের সম্পদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ, ঋণের ব্যবহার, অর্থের গতিপথ, তাদের ব্যবসায়িক ও অন্যান্য লেনদেন, ঋণের সুবিধাভোগীসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ (ইউএই) বিভিন্ন দেশে তাদের সম্পদের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মতিউর রহমান শেখ প্রথম আলোকে বলেন, আগে সিআইডি ও দুদক দুই সংস্থা মিলে তদন্ত শুরু করেছিল। এখন থেকে তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেবে দুদক। অন্যরা এতে সহায়তা করবে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তাঁর পরিবারের আট সদস্যের বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরিবারটির আট সদস্যের প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ, সম্পদ ক্রয় ও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য আদালতকে জানিয়েছে দুদক। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁর ১৬টি স্থানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবার এবং আরামিট গ্রুপের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০ বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, ইউএইতে ২২৮টি ও যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি বাড়ি রয়েছে

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com