আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধ প্রকট। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের ভেতরে কোন্দল মিটিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বিষয়কে বড় কঠিন কাজ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নতুবা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের পর দলের বিরোধ আরও বাড়তে পারে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়েছে গত রোববার হয়ে যাওয়া বিশেষ বর্ধিত সভায়। আওয়ামী লীগের এই সভায় সারা দেশ থেকে আসা সব স্তরের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। দিনভর এই সভায় তৃণমূলের ৪৩ জন নেতা বক্তৃতা করেন। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের বক্তব্যে তৃণমূলের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব ও মাঠপর্যায়ে বিভেদের কথা এসেছে। অনেকেই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বিবেচনার আহ্বান জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পাঁচ নেতার সঙ্গে গতকাল সোমবার কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরাও দলের বিভেদকে চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন বলে জানান। তবে তাঁরা এ–ও মনে করেন, গণভবনের বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতারা দুঃখ, কষ্ট ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলায় কিছুটা লাভ হয়েছে। ফলে দ্বন্দ্ব মিটে না গিলেও ক্ষোভ প্রশমন হয়তো হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলে দ্বন্দ্ব-কোন্দল আছে, এটা ঠিক। তবে ভোটে আওয়ামী লীগের সবাই নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবেন।বিস্তারিত