দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা লড়ছেন, তাদের সিংহভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। ফলে অনেক আসনে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগের এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকেই নেতাকর্মীরা বেশি ঝুঁকছেন। আবার কোথাও কোথাও নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে। ফলে দলের হাইকমান্ড থেকে অনুমোদন দেওয়া হলেও এসব স্বতন্ত্রকে ‘গলার কাঁটা’ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। শুধু নৌকার প্রার্থীর কাছে নয়, এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য দলের প্রার্থীর কাছেও। আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিকদের যে দরকষাকষি চলছে, সেখানেও এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যানুযায়ী, এবার ৩০০ আসনে গড়ে সাত জন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। নেত্রকোনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। তাকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের অনুসারীরা হুশিয়ারি দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে ভোট চাইতে এলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের হুমকি দেওয়ার একটি ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু। কিন্তু ওই আসনে বেশির ভাগ নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ ওয়াহেদের পক্ষে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদমর্যাদার এক নেতা দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘হাতেগোনা দু-একটি ছাড়া বাকি আসনগুলোতে নৌকার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যাবে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কোন্দলের ছাপ এবারের নির্বাচনে দৃশ্যমান হবে। টানা তিনবারের এমপিরা এতদিন তৃণমূলকে থোরাই কেয়ার করছেন। কমিটি হওয়ার পথে বাধা দিয়েছেন এমপিরা। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা। স্থানীয় নেতাদের অনেকে এমপি দ্বারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। তাই সবাই একাট্টা হচ্ছেন বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। আবার অনেকে কোন পক্ষে অবস্থান নেবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।’বিস্তারিত