দেড় মাস ধরে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে থাকলেও একদফা দাবি আদায়ে আশাবাদী হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি বিএনপি। ‘ঝটিকা’ কৌশলে সীমিত সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করায় রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন জমাতে পারছে না দলটি। আবার বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতাও আগের মতো দৃশ্যমান নেই। এসব কারণে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে একদফার আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই মুহূর্তে বিএনপি নতুন করে চাপে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে মিত্রদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে আছে বিএনপি। সর্বশেষ প্রায় দেড় মাস ধরে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করছে দলটি। কিন্তু ‘ঝটিকা কৌশলে’ অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীর সমন্বয়ে কর্মসূচি পালিত হওয়ায় ঢাকায় আন্দোলন জমে ওঠেনি। এতে করে তৃণমূলে হতাশা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অনেকের ধারণা ছিল, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রশ্নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও প্রশাসনের কোনো কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে—এমনটা আশা করেছিলেন অনেকে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও কিছু দিন ধরে এমন নানা গুঞ্জন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেমন পদক্ষেপ নিলে সরকার ও সরকারি দল চাপের মধ্যে পড়বে বলে আশা ছিল বিএনপির। সেই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ‘ঝিমিয়ে পড়া’ আন্দোলন বেগবান করার চিন্তা ছিল তাদের।বিস্তারিত