ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে ভারতের পরিকল্পনায় ষড়যন্ত্রে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জড়িত অভিযোগ করে তাদের জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। একই সঙ্গে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ভারতীয় পরিকল্পনায় ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন যড়যন্ত্র জাতীয় বেঈমানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ’ শিরোনামে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হবে কি হবে না, আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না, সেটা ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাই ঘোষণা দিয়েছে।
আমাদের ছাত্র-জনতার শেষ রক্তবিন্দু থাকতে আওয়ামী লীগ এ দেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের উদারতার অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ভারত থেকে শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু হাসিনার ফেরার পরপরই প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার শিকার হন।
এর পরও বিএনপি কিভাবে জুলাই গণহত্যার পরেও আওয়ামী লীগকে ভোটের রাজনীতিতে আনতে চায়। তাদের এ দুঃসাহস দেখে আমাদের লজ্জা হয়, রক্ত গরম হয়ে যায়।’
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে ঘোষণা করতে চাই, ভারতের যেসব দালাল এই দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চিন্তা-ভাবনা করবে আমরা তাদের প্রতিহত করব। আমরা তাদের হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে বাধ্য করব।
এ দেশে তাদের কবরও হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যেই দাবিগুলো জানিয়েছিলাম গত ১৬ বছরে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার যেসব অত্যাচার করেছে, গুম খুন করেছে- সেই গুম-খুনের পরিপূর্ণ তদন্ত করে সেগুলোর বিচার করতে হবে। গত জুলাইয়ে যে গণহত্যা হয়েছে তার বিচার না করে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।’
সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘হাসিনা গেছে যে পথে, ফখরুল যাবে সে পথে,’ ‘হাসিনা গেছে যে পথে ডা. শফিক যাবে, সে পথে’, ‘হাসিনা গেছে যে পথে, আসিফ নজরুল যাবে সে পথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।