1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ইরাকের বাগদাদে ইউরোপীয় বিমান পুনরায় অবতরণ শুরু তুরস্ক কৃষ্ণসাগর থেকে আসা অচল ড্রোন ভূপাতিত করেছে গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার মহান বিজয় দিবস স্বাধীনতার স্মৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন : অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া বেঙ্গালুরুতে শিল্পা শেঠির মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নতুন ধারার রাজনীতির ঘোষণা দিল জামায়াতে ইসলামী, চার স্তম্ভে রাষ্ট্র গঠনের কথা আমিরের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের বক্তব্যে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে ডলারের উদ্বৃত্ত, ১৪ কোটি ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিএনপির মহাসচিবের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা ও শপথ বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ৫৪ প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করে

নতুন ধারার রাজনীতির ঘোষণা দিল জামায়াতে ইসলামী, চার স্তম্ভে রাষ্ট্র গঠনের কথা আমিরের

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র—এই চারটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন ধারার রাজনীতির ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অতীতের রাজনীতিকে ইতিহাসের ভার হিসেবে না দেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দলটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। তিনি আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কোনো একক দলের নয়, বরং দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

বক্তব্যের শুরুতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতীতের রাজনৈতিক চর্চা দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, যে রাজনীতি স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তার পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেন, নতুন ধারার রাজনীতি হবে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

আওয়ামী লীগের শাসনামল নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা একটি দল ও গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তাঁর বক্তব্যে বলা হয়, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়েছে। তিনি এ সময় ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে বলেন, তৎকালীন বৈষম্যের কারণে দেশ সংকটের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল এবং স্বাধীনতার পরও রাজনৈতিক বিভাজন কাটেনি।

ডা. শফিকুর রহমান তাঁর বক্তব্যে রক্ষী বাহিনীর ভূমিকা, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং সেই সময়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে ওই সময়ে ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি হয়েছিল। এসব বিষয় তিনি স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ হিসেবে তুলে ধরেন।

পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংঘাতের প্রসঙ্গও তিনি উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্যে ১৯৯৬ সালের পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক ঘটনাবলি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন সহিংস ঘটনার উল্লেখ করা হয়। তিনি সুবর্ণচরের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার উদাহরণ দেন এবং এসব ঘটনার দায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর চাপান।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তিনি ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

আগামী নির্বাচন সম্পর্কে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দলীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে জামায়াতে ইসলামী। তাঁর মতে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তা দেশের জন্য নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করবে। তিনি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং কোনো পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তা প্রতিরোধের কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণদের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার ও সুশাসনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি সম্ভব।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে তিনি বিজয় দিবসকে স্মরণ ও ভবিষ্যতের জন্য অঙ্গীকারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর বক্তব্যে বলা হয়, অতীতের রাজনৈতিক বিভাজন ও সহিংসতার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক চর্চা, মানবাধিকার ও সুশাসনের ভিত্তিতে নতুন পথচলায় এগিয়ে যাওয়াই সময়ের দাবি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com