জাতীয় ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রাক্কালে টেলিভিশন টকশো ও নির্বাচনি সংলাপে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক বা হেয়প্রতিপন্ন বক্তব্য প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে চ্যানেলগুলোকে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো ও নির্বাচনি সংলাপে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সমান সুযোগ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা–২০২৫-এর বিধি ২৫ অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনি সংলাপে অংশ নিতে পারবেন, তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না।”
নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট চিঠিটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রেরণ করেছে। ইসি মনে করিয়ে দিয়েছে যে, নির্বাচনি পরিবেশে প্রকাশিত সব তথ্য ও অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হবে প্রার্থীদের কর্মকাণ্ড, নীতি ও নির্বাচনি প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে তথ্য প্রদান করা, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা অপপ্রচারের সুযোগ সৃষ্টি নয়।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে সচেতন করতে ইসি আশা প্রকাশ করেছে, তারা নির্বাচনী সংলাপ ও অনুষ্ঠানে সমান সময় বরাদ্দ নিশ্চিত করবে এবং কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে বৈষম্য করা হবে না। এতে ভোটাররা সমন্বিত ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশনা আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। একই সঙ্গে এটি সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।