রাজনীতি ডেস্ক
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন বন্টন বিষয়ক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল (১৯ ডিসেম্বর) ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার চূড়ান্ত রূপ আগামীকালের মধ্যে নির্ধারিত হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে মনোনীত প্রার্থীদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পূর্বে দলটি যেসব আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছে, তা দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শরিক দলের সাথে সমন্বয়ের প্রেক্ষাপটে পরিচালিত হচ্ছে। আসন বণ্টন প্রক্রিয়ায় দলটি নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি ও শরিকদের রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় রাখছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী জোটের ভেতরে সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কৌশল প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়া, আসন বণ্টন নিয়ে শরিক দলের মধ্যে সমন্বয় কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নির্বাচনী মাঠে দলের শক্তি ও সমর্থন পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আসন বণ্টন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে দলটি বিভিন্ন স্তরের আলোচনা ও সভা অনুষ্ঠিত করেছে। স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদনের পর মনোনীত প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও কার্যকর ও সংগঠিতভাবে পরিচালিত হবে।
বিএনপির বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী, শরিক দলের সাথে সমন্বয় বজায় রেখে প্রার্থী মনোনয়ন নিশ্চিত করা দলটির নির্বাচনী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আগামীকালের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দলের নির্বাচনী প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেলে, তা দলের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা ও ভোট সংগ্রহ কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া, আসন বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা দলটির নির্বাচনী শক্তি এবং জোটবদ্ধ কৌশল বিশ্লেষণ করবেন, যা আগামী নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।