রাজনীতি ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তার মিত্র দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ করেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর অথবা আজ-কালের মধ্যে মিত্রদের কে কোন আসনে নির্বাচন করবেন তা ঘোষণা করা হবে। সংশোধিত আরপিও ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থী বিবেচনায় নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনের অন্তত দুটি ‘অনিবন্ধিত’ দল বিএনপিতে যোগদান করে নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, নিবন্ধিত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনও অনেকটাই নিশ্চিত করা হয়েছে। ফাঁকা আসনগুলোর জন্য মূলত মিত্র দলদের প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়েছে এবং এটি দু-এক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত দুই দফায় মোট ২৭২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা ২৮ আসনে মূলত শরিকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে জোট নেতাদের অভিযোগ, একতরফাভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন শাহাদাত হোসেন সেলিম, যাকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। নড়াইল-২ ও কুষ্টিয়া-২ আসন পুনর্বিবেচনার বিষয়ে জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ফাঁকা থাকা পিরোজপুর-১, ঝিনাইদহ-২ ও পটুয়াখালী-৩ আসনের জন্যও সমঝোতা হয়ে গেছে।
মঞ্চভুক্ত পাঁচটি দলের শীর্ষ নেতাদের জন্যও আসন সমর্থনের প্রক্রিয়া চলমান। ঢাকা-১২, বগুড়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে সমর্থন দেওয়া হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম-১৪, কুমিল্লা-৭, ঢাকা-১৭ ও ঢাকা-১৩ আসনে মিত্রদের সমর্থন প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। ইসলামী দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসনে সমর্থন দেওয়া হতে পারে।
সৈয়দ এহসানুল হুদার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠান গতকাল বিকেলে গুলশানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ফুল দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় যোগদান করেছেন।