নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং ফোনে দলের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংযোগ করেন।
বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেখানে দেখা যায় তারেক রহমান ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন, “আপনার শরীর কেমন আছে? দোয়া করবেন। ইনশাআল্লাহ। আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্নরকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। থ্যাংক ইউ সো মাচ।”
এর আগে, তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি–২০২ (বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার) ফ্লাইটটি বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটে অবতরণ করে, কিছুক্ষণ বিরতির পর সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তার সঙ্গে স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমানও ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত। দীর্ঘসময় বিদেশে থাকা এই নেতা দলের ভেতরের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারেন।
ফ্লাইট পরিচালনার সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিশেষ ইউনিট তার নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত ছিল।
এভাবে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরা তারেক রহমানের আগমনকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে ধরা হচ্ছে।