রাজনীতি ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে গভীর শোক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “সংকটে শোকে মাথার ওপর যেমন মায়ের একটা ছায়া থাকে, জাতি যেন আজ সেই ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো। আমরাও হলাম।” রিজভী আরও উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়া সবসময় দলের সদস্যদের এবং দেশের মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।
রিজভী বলেন, “দীর্ঘজীবন যিনি নেতৃত্বের ছায়ায় আমরা বেড়ে উঠেছি, তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এমন বেদনা কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য খুব মুশকিল। এত নিপীড়ন সহ্য করে চোখের সামনে সন্তানের লাশ দেখেও শুধুমাত্র দেশ, মানুষ ও গণতন্ত্রের জন্য তিনি টিকে থেকেছেন। এরপরও কখনও তার চোখে-মুখে হতাশার ছাপ আমরা পাইনি। আজ তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সারাদেশ ও বিশ্ব এই মজলুম নেত্রীর জন্য গভীর শোক জানাচ্ছে।”
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে বিবেচিত হন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নেতৃত্ব দেশ ও রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে গেছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, কারাবাস এবং ব্যক্তিগত দুঃখ সত্ত্বেও তিনি জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্র রক্ষায় অবিচল ছিলেন।
তার মৃত্যু রাজনৈতিক মহলে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা তার অবদান স্মরণ করে শোক প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন।
দেশের রাজনীতিতে তার প্রভাব এবং নেতৃত্বের ছাপ দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই শোকের মুহূর্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেকেই বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের প্রতি সম্মান প্রকাশ করেছেন।