ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আউট না দেয়ায় উইকেট ভেঙে ফেলা, আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ এবং আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে ঝগড়া করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার (১১ জুন) মিরপুরে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচের তীব্র উত্তেজনার মধ্যে বাজে আচরণ করে বিতর্কের জন্ম দেন সাকিব।
এরপর আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সুজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। এছাড়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ভক্তদের কাছেও ক্ষমা চান তিনি।
nagad
ফেসবুক পেজে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্তবৃন্দ, এভাবে মেজাজ হারিয়ে একটা ম্যাচ নষ্ট করার জন্য এবং যারা ঘরে বসে খেলা দেখছিলেন তাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আচরণ করা কখনই উচিত নয়। আমি আমার দল, ম্যানেজম্যান্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়ালস এবং সাংগঠনিক কমিটির কাছে এই মানবিক ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করিছি, ভবিষ্যতে কখনই আর এমন কাজ করব না। সবাইকে ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা।’
ঘটনা আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। লক্ষ্য ১৪৬ রানের। ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে রীতিমত ধুঁকছে আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহমান দলকে বিপদ থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন।
মোহামেডানের তখন ৩ উইকেটে ২১ রান। পঞ্চম ওভারে বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ওভারের পঞ্চম বলটিই আঘাত হানে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম প্যাডে। সাকিব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার তাতে অনড়। এরপরই বিতর্কিত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন মোহামেডান অধিনায়ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট সাকিব রাগে ক্ষোভে উইকেটে লাথি মেরে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে ফেলেন।
সেখানেই শেষ নয়। আম্পায়ারের দিকে রাগত স্বরে তাকিয়ে কিছু বলতে থাকেন। অনেকটা সময় এমন আচরণ করেন সাকিব।
এখানেই শেষ নয়। বৃষ্টি নামার পর দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছেন, তখন সাকিব তেড়ে যান আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে। বাইরে বেরিয়ে আসা আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদের দিকে ক্ষিপ্ত সাকিব তেড়ে যান কিছু বলতে বলতে। এসময় মোহামেডানের ক্রিকেটাররা থামান সাকিবকে।
২০১৮ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে নিদাহাস ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মেজাজ হারিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিকেট মাঠে মেজাজ হারানোর এমন ঘটনা বারবার আলোচিত হয়েছে নানা প্রসঙ্গে।