1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেআইনি’

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১
  • ২০০ বার দেখা হয়েছে

ঢাকাঃ দেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেআইনি বলে মন্তব্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক আইনবিদ ব্যারিস্টার তানজীব উল আলমের৷

তার মতে, এই মুহুর্তেই তাদের সকল কার্যক্রম আইনের আওতায় আনা উচিত ও বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷

‘‘যে টাকাটা অলরেডি গেছে সেটা যদি আদায়ের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে আর একদিনের জন্য হলেও এটাকে আর রাখতে দেওয়া উচিত না, কারণ, যতদিন গড়াবে তত তার লায়েবেলিটির পরিমাণ বাড়বে৷”

ইউটিউবে ডয়চে ভেলের সাপ্তাহিক টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি৷

অনুষ্ঠানে উপস্থিত  বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির মনে করেন, দেশের সব ই-কমার্স  প্রতিষ্ঠানের আইন মেনে চলা উচিত৷

‘‘সবগুলো ই-কমার্স মার্চেন্টকে অবশ্যই আমাদের দেশের যে প্রচলিত আইন আছে, সেটার হান্ড্রেড পার্সেন্ট কমপ্লায়েন্ট হতে হবে, ভোক্তা সুরক্ষা ও ইন্ডাস্ট্রি প্রোটেকশন নিশ্চিত করতে হবে৷”

চলতি সপ্তাহে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ভোক্তাদের জন্য কতটা নিরাপদ সে বিষয়ে আলোচনা হয়৷

গত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে করোনা মাহামারির সময়ে দেশে অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ কেনাকাটার পদ্ধতি সহজ হওয়ায় অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন৷

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷ সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম  বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা৷ আর প্রতিষ্ঠানটির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবদেনে বলা হয়, এক টাকা আয়ের জন্য তিন টাকা ৫৭ পয়সা ব্যয় করছে প্রতিষ্ঠানটি৷

এমন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে গ্রাহকের লেনদেনের নতুন ব্যবস্থা তৈরির কথা বলা হয়৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ডেলিভারি মেসেজ দিলে বিক্রেতা মূল্য পাবেন৷ আর এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে এ অর্থ লেনদেন হবে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসা এমন বিষয় উল্লেখ করে ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, এটি কোনো সাসটেইনেবল বিজনেস মডেল নয়৷ বিশ্বের কোনো দেশেই এমন বিজনেস মডেল দেখা যায় না৷

বাজার বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইভ্যালি যে বিজনেস মডেলের কথা বলছে, অফার দিচ্ছে সেই অফারের মাধ্যমে তার পক্ষে সাসটেইনেবল বিজনেস করা সম্ভব না৷ এরই ধারাবাহিকতায় বলা হচ্ছে যে, যেহেতু এটি সাসটেনেইবল না, সেহেতু এটি পঞ্জি স্কিম৷”

দ্রুত অর্থ উপার্জনের প্রায় সকল প্রতারণামূলক কাজকেই অর্থনীতির ভাষায় পঞ্জি স্কিম বলা হয়৷

এ ধরনের ব্যবসা বাংলাদেশে অবৈধ উল্লেখ করে তিনি তার আগে দেশের অর্থনীতি খাতে বহুল আলোচিত হলমার্ক, ডেসটিনি ও যুবক-এর কথা তুলে ধরেন৷

তার মতে, এ ধরনের ব্যবসা পেনাল কোডের অধীনে অপরাধ৷

‘‘আইনে কোথাও পাবেন না যে ই-কমার্স করা নিষিদ্ধ৷ কিন্তু লিগ্যাল অ্যাক্টের ছদ্মবেশে যখন ইলিগ্যাল ইন্টেনশন নিয়ে কাজটা করবেন তখন এটি ইলিগ্যাল হয়ে যায়৷… ডেসটিনি বা যুবকের বিরুদ্ধে দু’দক যে মামলাগুলো করেছে সেখানে মূল অভিযোগের সূত্রটি ছিল যে, তারা যে ব্যবসা করতো, তারা জানতো যে অল্টিমেটলি সব প্রমিজ রক্ষা করতে পারবে না৷ জেনেশুনেই করেছে এমন ব্যবসা৷ জানতেন যে, এক পর্যায়ে আপনাকে এখান থেকে পালাতে হবে৷ পালানোর সময় এখানে যে টাকাটা সরাচ্ছেন সেটি আপনার লাভ৷ তার মানে, আপনি জানতেন যে ব্যবসাটি ডেস্টাইনড টু ফেইল৷ তারপরও আপনি একই কাজ করে গেছেন আর ওটাই হলো ইলিগ্যাল অংশটি৷”

এদিকে (বেসিস)-এ,র সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির মনে করেন, সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত৷ তিনি বলেন, যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে তা পুরো ইন্ডাস্ট্রির উপরই মানুষের আস্থা নষ্ট হবে৷

উল্লেখ্য, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোর পক্ষ থেকে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়নি৷

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com