দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা এসেছে। ওইদিন থেকে সাধারণ ছুটির বিষয়ে চিন্তাভাবনা ভাবছে করছে সরকার।
সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের সঙ্গে কথা বলে সাধারণ ছুটির চিন্তার কথা জানা গেছে। তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনে ঠিক ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করা হবে কি না তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এছাড়া সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও দেশ চালাতে সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতর খোলা রাখতে হয়। এসব জায়গায় নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ছুটির মধ্যে আলাদা বেতন-ভাতা দিতে হবে। বর্তমানে সরকার কৃচ্ছতা সাধনের নীতিতে থাকায় সরকারি ঘোষণায় ‘সাধারণ ছুটি’ শব্দটি না-ও থাকতে পারে। তবে কার্যত সাধারণ ছুটির মতোই কড়াকড়ি আরোপ হবে। অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনের সরকারি-বেসরকারি অফিস ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালত বন্ধ থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে যেমন অবস্থা ছিল, তেমনি অবস্থায় না গেলে করোনাভাইরাসের বর্তমান সংক্রমণের উল্লম্ফন ঠেকানো যাবে না। সংক্রমণের চেইন ভাঙতে সাধারণ ছুটিই একমাত্র ভরসা। তবে গতবারের চেয়ে দু-একটি ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকবে। গতবারের সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবার সরকারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হিসাব বিভাগ, ওষুধ, গণমাধ্যম, খাদ্যপণ্য, কাঁচাবাজার, পোল্ট্রি, কৃষি, ব্যাংক ইত্যাদি বিষয়গুলো সংক্রান্ত যান ও ব্যক্তিদের চলাচলে বাধা ছিল না। এবার এগুলোর সঙ্গে রফতানিমুখী গার্মেন্টশিল্প, বন্দর, বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক বিমান, প্রবাসীদের দেশের বাইরে যাওয়া-আসার বিষয়গুলোও লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বৈঠকের বিষয়সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন। সেই সময় আগামী বৃহস্পতিবারের কঠোর লকডাউনের বিষয়েও কিছু ইঙ্গিত দিতে পারেন।